দেবহাটা

দেবহাটায় টানা বৃষ্টিতে শতশত বিঘা ফসলের মাঠ ও মৎস্যঘের প্লাবিত !

By daily satkhira

July 30, 2021

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় টানা বৃষ্টিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। ৩ দিনের অতি বর্ষণে ডুবে গেছে শত শত ফসলের মাঠ ও মৎস্যঘের। পানিতে ভাসতে অসংখ্য বসতবাড়ির আঙ্গিনা। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।

জানা গেছে, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে বৃহৎ একটি অংশ। এতে লাখ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ বিলের মৎস্যঘের প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে মৎস্য সম্পদ। কোথাও কোথাও খাল, বিল, মৎস্যঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে চলতি মৌসুমে রোপন করা ধান ও সবজির খেতে হাটু পানিতে ডুবে গেছে। তবে চলমান এ পরিস্থিতির সৃষ্টির জন্য অপরিকল্পিত মৎস্যঘের নির্মাণ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

এছাড়া সরকারি খালে নেট পাটা ও ব্যক্তি দখলে থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। আর এতে বিকল হয়ে পড়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। কোন কোন স্থানে শুকনো গাছ ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগের তারের ওপর। ফলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে দেবহাটার বিভিন্ন এলাকা। এতে গ্রামের দোকানগুলোতে মোমবাতি ও জ্বালানি তেলে বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টিতে খাল,বিল ডুবে যাওয়ায় অবসরে অনেকে নেমেছেন মাছ ধরার কাজে। দেবহাটার কোঁড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, মাছেরঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। হাজার হাজার টাকার মাছ অন্য লোকের ঘেরে চলে গেছে। এবছর অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহম্মেদ জানান, বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তার বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁটু পানি। বারান্দায় পানি উঠতে শুরু করেছে। রান্না ঘরে পানি থৈ থৈ করছে। বাড়ির কোথাও শুকনো জায়গা নেই। রান্না খাওয়া হবে কি না সন্দেহ।

মৎস্যঘের মালিক আজিজুল হক আরিফ জানান, খালের সাথে ঘের একাকার হয়ে গেছে। নেট কিনে ভেড়ির পাশ দিয়ে উঁচু করে দিচ্ছি,কোন রকম মাছ রক্ষা করার জন্য। বহুটাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করছি। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে জানি না শেষ পর্যন্ত কি হবে। মাছ চলে গেলে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার জানান, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি। কোথাও কোন বড় সমস্যা দেখা দিলে আমাকে অবহিত করবেন। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।