সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বিতর্কিত অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ডিসি বরাবর অভিযোগ

By daily satkhira

July 31, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শিক্ষা দস্যুখ্যত অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্র সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড হতে জাল-জালিয়াতিপূর্বক ১৮টি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ, ১৮টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির আজীবন সভাপতি, একই জমি ও অবকাঠামোর ছবি দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন, পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপূর্ণ ৩য় তলা ভবনের একইদাগ/ খতিয়ানের ৪টি জাল দলির দিয়ে ৪টি স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাইকগাছা উপজেলার কাছিঘাটাতে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে পিতা-মাতার নামে ২টি কলেজ করেন। সে সব কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়া এড. আব্দুর রহমান কলেজে অধ্যক্ষ থাকার সুযোগে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বিরুদ্ধে। কলেজের সংরক্ষিত তহবিল আত্মসাতসহ এম এ সনদ জালিয়াতি করে নিজের স্ত্রী সেলিনা সুলতানাকে অত্র কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে দিয়ে এমপিও ভুক্ত করনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনলায় ও যশোর শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক এ পর্যন্ত তার গৃহিত ও উত্তোলিত বেতন ভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরৎসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গত ০৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে আক্তারুজ্জামান কে কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এবং এম এ সনদ জালিয়াতির জন্য তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গভর্নিংবডি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বহিস্কারের পরও আখতারুজ্জামান বাড়িতে বসে কলেজে সীল ও প্যাড ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তরে ভূয়া স্মারকে দরখাস্ত করে যাচ্ছে। এমনকি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্রের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংকে ভূয়া পদত্যাগ পত্র দাখিল করেছেন। এঘটনায় দার রমেশ চন্দ্র থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তার বেতনভাতাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেলতের জন্য পি,ডি,আর এ্যাক্ট ১৯১৩ তে মামলার জন্য বলা হয়েছে। সংরক্ষিত তহবিল আত্মসাথের জন্য আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু তারপরও জালিয়াতি করে বিভিন্নভাবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন আখতারুজ্জামান। তার জালিয়াতির কার্যকলাপের তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এ্যাড. আব্দুর রহমানের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্র। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কবির বলেন, অভিযোগের বিষয়টি চোখে পড়েনি। আমি খোজ নিয়ে দেখবো।