অনলাইন ডেস্ক : মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত মোবাইল ডাটা ফেরত দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
এর আগে মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা পরবর্তী সময়ে কেনা ডাটা প্যাকেজের সঙ্গে ফিরিয়ে দিতে মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তবে ডাটা ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে-একই মেয়াদের ডাটা প্যাকেজ কিনলে এটা ফেরত পাওয়া যাবে এবং তা ওই প্যাকেজের মেয়াদের মধ্যেই ব্যবহার করতে হবে। গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য এই শর্তযুক্ত সুবিধা মিলছে। কিন্তু এতে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না, তা বিটিআরসি খতিয়ে দেখবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিটিআরসিকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছি। বিটিআরসিও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কমিটি গঠন করেছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে যারা গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত দিচ্ছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কতটা স্বচ্ছ, তাতে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা হবে। আর যেসব অপারেটর সাত দিনের কম মেয়াদে ডাটা প্যাকেজ বিক্রি করছে তাদেরও জবাবদিহির সম্মুখীন করা হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটা তারা আগে ফেরত দিত। আমি নিজেও এই ডাটা ফেরত পেয়েছি। কলড্রপ হলেও তার ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। কিন্তু এখন তা পাওয়া যাবে না কেন? গ্রাহকরা যাতে তাদের কেনা ডাটা প্রয়োজন অনুসারে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায়, সে কারণে ডাটা প্যাকেজগুলোর মেয়াদ কমপক্ষে সাত দিন করারও নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এখনো সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন কেন হচ্ছে না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটদের সেবার গুণগত মান নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে। গুণগত মান রক্ষার কথা ছিল, আমরা সেগুলো মনিটরিং করে আসছি। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া এই কাজটি সম্পাদন করা অসম্ভব। সেজন্য আমরা এক্ষেত্রেও প্রযুক্তিকে অবলম্বন করছি।
গত সোমবার কানাডা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকমের সাথে বিটিআরসির টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮০ দিনের মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।