খেলা

মুস্তাফিজের অসামান্য বোলিংয়ে ১২১ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া

By Daily Satkhira

August 04, 2021

খেলার খবর : পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৩১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল। পরে অস্ট্রেলিয়াকে ১০৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২৩ রানের জয় পায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (বুধবার) আগে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি অজিরা। ১২১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে তারা। ১২২ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকদের সামনে। মুস্তাফিজুর রহমান একাই নিয়েছেন তিন উইকেট।

আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে সফরকারীদের ত্রাতা হতে দাঁড়িয়েছিলেন মিচেল মার্শ। ৪৫ বলে ৪৫ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেন তিনি। আজও সেই ৪৫ রানেই থামলেন মার্শ ভাইদের ছোটজন। তার ৪২ বলে খেলা ৪৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ১২১ রানের পুঁজি পেয়েছে সফরকারী শিবির।

বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ৩টি, শরিফুল ইসলাম ২টি এবং সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান নেন ১টি করে উইকেট নেন।

আগের ম্যাচের মতো এদিনও টস জেতে অস্ট্রেলিয়া। তবে এবার আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ২ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১১ রান তুললেও তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারি। তাকে ফেরান মেহেদী। আউটসাইড অফের বলে ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে। ক্যারির ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১১ রান।

অজি শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার জস ফিলিপে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে হাত ঘোরাতে এসেই সফল মুস্তাফিজ। ফিলিপে খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে, কিন্তু ব্যাট-বল এক করতে পারেননি। মুস্তাফিকের স্লোয়ার ভেঙে দেয় ফিলিপের লেগ স্ট্যাম্প। ১৪ বলে ১০ রান করেন ফিলিপে।

৩১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অজিদের খেলায় ফেরান মিচেল মার্শ ও মোয়াসেস হেনরিকস। তৃতীয় উইকেটে তাদের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৫৭ রান। ৩০ রানে থাকা হেনরিকসকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। পরে শরিফুলে কাটা পড়েন মার্স। খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের আশা।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওয়েড ও অ্যাগারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটি পারেননি তিনি। তবে বড় হয়নি অজিদের সংগ্রহ। আর কোনও ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পুঁজি দাঁড়ায় ১২১ রানের। এতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১২২ রানের।