কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে সুসমাজ ফাউন্ডেশন কর্মকর্তাদের দূর্নীতির আভিযোগ

By daily satkhira

May 26, 2017

আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলায় সুসমাজ ফাউন্ডেশনের ভিজিডি ২০১৭-১৮ চক্রের মাঠ প্রশিক্ষক পদে ৪ জন কর্মীকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশিক্ষক পদে নিয়োগ ও অব্যহত পত্র সুত্রে জানাযায়, নাভারণ শার্শা যশোর সু-সমাজের নিবার্হী পরিচালক এনএনএম মুজিবুদৌলা সরদার কনক, সুসমাজ /নাভা/ ভিজিডি/২০১৭-২০১৮/৯৬(৫) স্মারক নম্বরে শেখ ফিরোজ হোসেন, খাদিজা খাতুন, রাবেয়া খাতুন, রোমিছা খাতুনকে মাঠ প্রশিক্ষক হিসেবে ২৫/২/১৭ তারিখে নিয়োগ প্রদান করে। ইতিপূর্বে ঐ চারজন প্রশিক্ষক কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ সরকারের আত্মসামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওয়তায় সে সকল কর্মসূচি আছে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ ভিজিডি কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় তিন ধাপে ৬ বছর সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছিল। বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন, মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসাবে প্রকল্পটিতে উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলাকার অসহায় হতদরিদ্র নারীদের ভিজিডি বিষয়ে সচেতনতা ও জীবন দক্ষতা মুলক কার্যক্রমে ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ সালে প্রশিক্ষক হিসাবে সুসমাজ ফাউন্ডেশনে ৬ বছর যাবৎ চাকুরী করে আসছিল। পরবর্তীতে এই প্রকল্প ২০১৭-১৮ সালের জন্য উপজেলার সুসমাজ ফাউন্ডেশন ৮টি ইউনিয়নে এবং ইডা সংস্থা ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের সহযোগি হিসাবে ভিজিডি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ৯ মে উপজেলা বিআরডিবি হলরুমে অনুষ্ঠিত দুটি সংস্থার ১১জন মাঠ প্রশিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিযোগকারী প্রশিক্ষকরা চুক্তিপত্র আলোকে তাদের মাসিক বেতন ভাতা ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৮ হাজার টাকা দাবীর বিষয়টি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী ও  উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহারের নিকট উপস্থাপন করলে বাড়তি বেতন সম্পর্কে সুসমাজ ও ইডা সংস্থা কতৃপক্ষ তাদের উপর ক্ষুব্দহয়। পরে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিষয়টি সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী দ্রুত নিজেদের মধ্যে সমাধান করার নির্দেশ দেয়। এরই জের ধরে সুসমাজ ফাউন্ডেশন মে মাসের শেষের দিকে ৪জন প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে সঞ্চায়ের টাকা অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকুরী হতে অব্যহতি দিয়ে ডাকযোগে তাদের কাছে চিঠি পাঠায়। এই প্রকল্পটিতে সুসমাজ ফাউন্ডেশন প্রথম থেকেই ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছে। ২০১৭ সালে জানুয়ারী থেকে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হলেও সঞ্চয় আদায় কার্যক্রম শুরু হয় মে মাস থেকে। এবং ভিজিডি সদস্যদের মাসিক ২শ টাকা সঞ্চায়ের কথা থাকলেও সেখানে উপজেলার ভাড়াশিমলা, তারালী ও বিষ্ণপুর ইউনিয়নে ২১০ ও ২২০ টাকা হারে সঞ্চায় আদায় করে সংস্থাটি। সরকারি পরিপত্র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ভিজিডি কর্মসূচির রেজুলেশন উপেক্ষা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। এদিকে সুসমাজ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত করে প্রতিকার চেয়ে অব্যহতি প্রাপ্ত ৪জন মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এব্যাপারে সুসমাজের মনিটরিং অফিসার আবু সাঈদের সাথে দূর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মুলকভাবে কর্মীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাথে কথা বলে সব পেয়ে যাবেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন সুসমাজ ফাউন্ডেশনের কোন কর্মকর্তাকে তাদের কে একাধিকবার ডেকেও পাইনে। ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কর্মসূচি ট্রেনিংয়ের বিষয় তাদের দায়িত্বে রয়েছে। তারা যে দূর্নীতি করেছে এটা আমি বিভিন্ন সময় লোক মারফত শুনেছি। উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে তাদের আমি কখনো আসতে দেখিনি।