খেলার খবর : দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের বিপক্ষে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই চরম বিপাকে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ-ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ২৩ রানের জয়। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই জয় তুলে নেওয়ার পর যখন বিশ্বক্রিকেট বাংলাদেশ দলের ভূয়সী প্রশংসা করে। তখন সেই জয়কে ‘অঘটন’ হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের পশ্চিমঙ্গের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করার পর সেই আনন্দবাজারই এখন টাইগারদের প্রসংশায় পঞ্চমুখ।
এবার সংবাদমাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের চমক, দুই ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জয়’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিজে এখনও দুই ম্যাচ বাকি। তার আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে গেল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচেই জিতে গেল তারা।
শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২৩ রানে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছিল ৫ উইকেটে।
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। উল্টো দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিন যত এগিয়ে আসছে, তত চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তোলে। জবাবে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মাহমুদুল্লাহ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। মাহমুদুল্লাহ ৫২ রান করেন। তার ৫৩ বলের ইনিংসে ৪টি চার রয়েছে। নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর উইকেট না নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন।
মাহমুদুল্লাহ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র তিন রানের মধ্যে মুহাম্মদ নাঈম (১) ও সৌম্য সরকার (২) ফিরে যান। দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
এরপর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। সাকিবের (২৬) সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন। সাকিবকে ফেরান জাম্পা। পরের উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৯ রান যোগ করেন। সপ্তম উইকেটে তিনি এবং মেহেদি হাসান আরও ৩০ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ তিন বলে মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর (০) ও মেহেদিকে (৬) আউট করে হ্যাটট্রিক করেন নাথান এলিস। এটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের যা হাল, তাতে এলিসের পারফরম্যান্স কোনও কাজে লাগেনি। রান তুলতে হিমসিম খেয়ে যান অসি ব্যাটসম্যানরা। নাসুম ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। সাকিব ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ (৫১), বেন ম্যাকডারমট (৩৫) ছাড়া কেউ ভাল রান পাননি।
এই সিরিজে বাংলদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে রানই করতে পারছেন না অসি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১৩১ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান তোলে।