সাতক্ষীরা

কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে সাতক্ষীরা আবাদের হাট : সংক্রমণ আতংকে স্থানীয়রা

By daily satkhira

August 07, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও বড় ধরনের জমায়েত ঘটিয়ে চলছে সাতক্ষীরার আবাদের হাট(গরু হাট)। সীমান্ত জেলা হিসেবে সাতক্ষীরা করোনা সংক্রমের হটস্পট হলেও একেবারে সীমান্ত ইউনিয়ন আগরদাড়ীর আবাদের হাটে(গরু) কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে চালানো হচ্ছে এ হাট। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এখান থেকে ব্যপকভাবে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে হাটের ইজারাদার বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট পরিচালিত হচ্ছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরার জেলার সবচেয়ে বড় গরু হাট এটি। সম্প্রতি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সাতক্ষীরাসহ দেশে শুধু কাঁচা বাজার ব্যতিত সকল ধরনের হাট, জনসমাগমের উপর কঠোর বিধি নিষেধ দেওয়া হলেও হাটের ইজারাদার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে এ হাট।

সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ হাটে আসেন। তাদের অধিকাংশদের মুখে কোন মাস্ক নেই। কে শরীরে ভাইরাস বহন করছেন তা বোঝার সুযোগ নেই। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার সেখানে এতটাই ভীড় হয় যে সেখান দিয়ে হেটে যাওয়ার সুযোগও থাকে না। সম্প্রতি আবাদের হাট এলাকায় করোনায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার মানুষের মধ্যে আতংক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

তবে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় শুধু মাত্র কাঁচা বাজার ছাড়া সকল ধরনের হাট বন্ধ রয়েছে। অজানা কারনে শুধু মাত্র আবাদের হাট নিয়মিত চলছে। অন্যান্য হাট বন্ধ থাকার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা শত বাধা পেরিয়েও এখানে ভীড় জমাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত গেলেও ২/১টি দোকানে জরিমানা করে চলে আসেন। হাটের দিকে যান না। ঝুঁকি কমাতে এ হাট দ্রুত বন্ধের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

এবিষয়ে আবাদের হাটের সাবেক ইজাদার অনীত ঘোষাল বলেন, গত বছর করোনায় হাট চালাতে না পেরে অনেক টাকার ক্ষতি সম্মুখিন হতে হয়েছে। এবার আর ডাক নিতে পারেনি। তবে এবার দেখছি যিনি ইজারা নিয়েছেন তিনি হাট নিয়মিত চালাচ্ছেন।

হাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান হবি বলেন, কেন হাট চলছে এর কোন কৈফিয়ত দিতে পারবো না। তবে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট পরিচালিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, সেখানে মানুষের চেয়ে গরু বেশি। গরু ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বিষয়টি বেশ জটিল। আজ আমার চোখে বিষয়টি পড়েছে। কিন্তু করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনের কারনে ব্যস্ত থাকায় সময় দিতে পারেনি। তারপরও হাট বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। এছাড়া এভাবে হাট পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো।