জাতীয়

হত্যাচেষ্টা মামলায় সিকদার ভাইদের অব্যাহতি

By Daily Satkhira

August 13, 2021

দেশের খবর : এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।

শিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদারের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতে আসামি দুজন হাজিরা দিয়েছিলেন। বাদীর এ মামলায় আপত্তি নেই বললে, বিচারক তাদের অব্যাহতি দেন।

আইনজীবী আরও বলেন, গত ২৬ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন উদ্দিন।

পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বাদী ও বিবাদীর ভুল–বোঝাবুঝির কারণে এই মামলার উদ্ভব হয়েছে। পরে বাদী-বিবাদী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আসামিদের অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণাদিও পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল মর্মে প্রতীয়মান হয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সমঝোতায় বাদী-বিবাদী বলেছেন, তদন্তের ফলাফল তারা মেনে নেবেন এবং পরবর্তীকালে তারা এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না।

গত বছরের ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের এমডিসহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখেন। তাদের গুলি করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।

বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এর পরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষরও নেন। ঘটনার পর থেকে রন হক ও দিপু হক পলাতক হন। পরে নিজেদের চার্টার্ড বিমানে করে তারা থাইল্যান্ডে পাড়ি দেন।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রন হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম ১০ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। পরে রন হকের জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত।