কলারোয়া

কলারোয়া লাঙ্গলঝাড়ায় বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

By daily satkhira

August 13, 2021

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রুদ্রপুরে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

রুদ্রপুরের ইউসুপের ছেলে লাল্টু গত জুলাই মাসে ১৮ তারিখে উক্ত গ্রামের ফুলজাহান বিবির বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করে দেওয়ার নাম করে ৬ হাজার টাকা আত্মসাত করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফুলজাহানর বিবি।

সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্ট চেক করে জানা গেছে, ৬ হাজার টাকা লাল্টু যে বিকাশ এজেন্টের নাম্বারে তার এলাকার মানুষের টাকা পাঠাত সেই একই নাম্বারেই গেছে। সেটার প্রমানও আছে।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, শুধু লাল্টুর কাছেই গিয়েছিলাম টাকা উঠানোর জন্য আর কোথাও যাইনি। কিন্তু ভুক্তভোগী লাল্টুর কাছ থেকে একটি টাকা ও পাইনি। এই গরীব অসময়ে মহিলার ৬ হাজার টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু এই ৬ হাজার টাকার দায় ভার লাল্টু কিংবা ওই বিকাশ এজেন্ট কেউই নিতে চাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী ফুল-জাহানের স্বামী আফছার সরদার বলেন, আমি লাল্টু কাছে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে ও বলে চাচা এখনো তোমার টাকা আসে নাই।আমি পরবর্তীতে আবার ওর দোকানে গেলে বলে চাচা তোমার ফোনে ১৫০০ টাকা আছে। তুমি চাও তো এই ১৫০০ টাকা তুলে নিয়ে যাও। তোমার ফোনে টাকা আসবে ৩০০০ তবে এখন ১৫০০ টাকা আসচ্ছে পরে আর ১৫০০ টাকা আসবে। আমি এটা শুনে বলি টাকা আসার কথা ৬০০০ তা ১৫০০ কেনো আসবে। আমি ১৫০০ টাকা উঠাবো না।এটা বললে লাল্টু বলে পরে তাহলে আর ১৫০০ আসলে তাই এসেনি। আমি পরবর্তীতে টাকা তুলতে গেলে ও আমাকে বলে চাচা তোমার মোবাইলে টাকা নাই।তবে আমি আমার এই মোবাইল আমি লাল্টুর কাছে ছাড়া আর কারোর কাছে দেই নাই বা জাই নাই।আমাদের টাকা ওই লাল্টুই নিচ্ছে।

ভুক্তভোগী ফুল-জাহান বিবি বলেন, আমরা অসহায় বলে সরকার আমাদের টাকা দিচ্ছে। সেই টাকা লাল্টুর কাছে উত্তোলন করতে গেলে সে আত্মসাত করে। আমার পিনকোট নিয়ে ও টাকা তুলে নেয়। আমি ও আমার স্বামী ওর কাছে অনেক বার গেছি কিন্তু বার বার বলে টাকা আসে নাই। আমি কি করবো এখন? আমরা মোবাইলের সম্পর্কে কিছু বুঝি না বলে আমার টাকা তুলে নিচ্ছে আর বুঝতেই পারি নাই। আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই।

অভিযুক্ত লাল্টু বলেন, ফুলজাহানের টাকা ওনারা অন্য জায়গা থেকে টাকা তুলে নিয়ে এখন আমার দোস দিচ্ছে আমি ওদের টাকা তুলে নেয় নাই। তবে ওদের টাকা ওটানো হয়েছে ১৮ জুলাই আর ওনারা আমার কাছে টাকা তুলতে আছে ২০জুলাই। ২০ জুলাইয়ের আগে আমার কাছে আসে নাই।

আপনি যে বিকাশ এজেন্টর সাথে লেনদেন করেন সেই এজেন্টের নাম্বারে আপনার মাধ্যমে নাকি এই ৬০০ হাজার টাকা উুকানো হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লাল্টু বলেন, আমি এই ৬০০০ হাজার টাকা ওনার নাম্বারে ঢুকায় নাই ওই গ্রহকের নাম্বার থেকে।

বিকাশ এজেন্ট শফিউল্লা বলেন, লাল্টু দীর্ঘ দিন ধরে আমার সাথে লেনদেন করে আসছে। ওনার গ্রামের কেউ আমার দোকানে এসে টাকা তুলে নিয়ে যাই নাই। ওনারা কেউ আমার দোকান ও সঠিক ভাবে মনে হয় চেনে না। আমার নাম্বারে ওনি টাকা মেরে দিতো,দিয়ে ওনি টাকা নিয়ে যেতো প্রতিদিন ৩০-৪০ হাজারের মত। এর কোনো দাই ভার আমার ছিলো না। ১৮ জুলাই এর ঘটনার জন্য আমি দুঃখীত।

উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের কাছে উক্ত বিষয়ে যানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই লাল্টুর নামে আমার কাছে অভিযোগ আছে। স্থানীয় ভাবে দেখেন আগে বিচার সালি করে টাকা দেই কি না। না হলে ডিজিটাল আইনে মামলা করে দিন। আপনারা আপনাদের মত করে ব্যবস্ত নিন আমি আমার মত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আপনাদের সর্বত্র সহযোগিতা করবো। চোর ব্যাটপারদের কোনো রকম ভাবে ছাড়া দেওয়া হবে না।

উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর কাছে অভিযোগ দিতে গেলে ওনি অভিযোগটি গ্রহণ করেন ও বলেন বিষয়টা গুরুত্বর সহি দেখছি আমি।

উল্লেখ : লাল্টু যে বিকাশ এজেন্টের নাম্বারে তার এলাকার মানুষের টাকা পাঠাতো সেই একই নাম্বারে এই ৬০০০ টাকাও ডুকানো হয়েছে।