শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ভূরুলিয়াতে অবৈধভাবে মুরগির ফার্ম তৈরি করে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটি গ্রামের চালাতে ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান মাদ্রাসা ও মসজিদ সংলগ্ন সরকারের অনুমোদন ছাড়াই, অপরিকল্পিতভাবে মুরগির ফার্ম তৈরি করে পরিবেশ দূষণ করছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা ও যশোর থেকে প্রকাশিত একাধিক পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে হয়রানিমূলক, কথাবার্তা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় শ্যামনগরে অপরিকল্পিত পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর একটি প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। যে প্রতিবাদে ১নং ভূরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাওঃ ফারুক হোসেনের নাম প্রকাশ করে মোছাঃ ছালিমা খাতুন প্রতিবাদে উল্লেখ করেছেন , আমার নামীয় কোন পোল্ট্রি ফার্ম নেই । আমি চালতেঘাটা বাজারে একজন চা ও বিস্কুট বিক্রেতা। আমার ব্যবসা ও ইউপি নির্বাচন করার প্রত্যাশা প্রকাশ করায় জামাতের চেয়ারম্যান মাওঃ ফারুক হোসেন মেনে নিতে পারেনি বরণ শত্রুতা পোষণ করে আসছে। তবে আমার জায়গা ডিড নিয়ে নাগবাটি গ্রামের মনিরুল ইসলাম সোনালি-মুরগির-খামার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে আমার মান-সম্মান নষ্ট করতে, জামাতের চেয়ারম্যান কল্পকাহিনী তৈরি করে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকাত আলীর নামীয় সম্পত্তি সালিমা খাতুন নিজের দাবি করে এবং বলেন নাগবাটি গ্রামের মনিরুল ইসলাম এর কাছে ডিড দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান মনিরুল ইসলাম সালিমা খাতুনের সন্তান।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন সংশ্লিষ্ট ঘটনার সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত লুৎফর রহমান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের কারণে আমার কাছ থেকে সুপারিশ করে নিয়ে ছিলেন। বিষয়টা খুবই জনস্বার্থ পরিপন্থী সুতরাং বাজারের উপরে মসজিদের পাশে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান পাশে এরকম একটা সহ প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি মেন্টেন করে করা হোক।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারো বাচ্চা তুলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মর্মে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসে কথা হলে জানান, আমাদের অফিসের থেকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ০৮/০৬/২১ লিখিত ভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে অমান্য করে যদি আবার কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমারও নোটিশ প্রদান করা হবে। আগামী সপ্তাহে শ্যামনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কার্যালয় অবহিত করে দ্বিতীয়বারের মতো নোটিশ প্রদান করা হবে। শ্যামনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানিয়েছেন ভূরুলিয়া ইউনিয়নের চালতেঘাটা বাজার সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় এবং মাদ্রাসা সংলগ্ন কোন ফার্মে অনুমোদন দেয়া হয়নি আমার জানামতে ওই ফার্মের কোনো অনুমোদন নেই। বাজারের মত জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিবেশ দূষণ করে যে ফার্ম তৈরি হয়েছে তা বন্ধের জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছে।