বিশেষ ডেস্ক : জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর এ দিনটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে উদযাপন করা হয়। সোমবার (৩০ আগস্ট) শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন হচ্ছে।
জন্মাষ্টমীর পুজো শুরু হবে অষ্টমী লাগার পর। এ বছর ইংরেজির ৩০ আগস্ট পড়েছে জন্মাষ্টমী , যা শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টা বেজে ৪৪ মিনিটে। অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে সোমবার রাত ১টা ৫৯ মিনিটে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকনসহ বিভিন্ন মন্দিরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আবারও এসেছে জন্মাষ্টমী। ফলে এ উপলক্ষে সব ধরনের মিছিল, র্যালি ও শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে সব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হবে।
রোববার (২৯ আগস্ট) এ সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গত ৬ আগস্ট জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তি অনুমতিক্রমে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে আরোপিত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। একই সঙ্গে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সব প্রকার শোভাযাত্রা, র্যালি, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে অবশ্যই সব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হবে।
মহামারির করোনার কারণে গত ২০ আগস্ট পবিত্র আশুরা উপলক্ষেও সব প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।