খেলার খবর : টেস্ট ক্রিকেট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন সরে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে খেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়মিত চোটে ভোগা এই ডানহাতি পেসারের জাতীয় দলের জার্সিতে গত বছরের পর আর মাঠে নামা হয়নি। সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও তিনি খেলেছেন প্রায় পাঁচ মাস আগে। এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বিদায় নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। পরের বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়ে যান তিনি। টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার পর ২০০৫ সালে ওয়ানডে এবং ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তার।
বিদায়ী বার্তায় ৩৮ বছর বয়সী স্টেইন লিখেছেন, ‘যে খেলাটিকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা থেকে অবসর গ্রহণ করছি। ভালো-মন্দ মিশিয়ে মিশ্র একটি অনুভূতি থাকলেও আমি কৃতজ্ঞ। এই ২০ বছর ছিলে প্রশিক্ষণের, ম্যাচের, ভ্রমণের, জয়ের, হারের, স্ট্র্যাপ দিয়ে বাঁধা পায়ের (মূলত চোটের কারণে), জেট ল্যাগের, আনন্দের এবং ভ্রাতৃত্বের। বলার মতো অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে। পরিবার থেকে শুরু করে সতীর্থদের, সাংবাদিকদের থেকে শুরু করে ভক্তদের- সবাইকে ধন্যবাদ। পুরো যাত্রাটা ছিল অবিশ্বাস্য।’
১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যরিয়ারে ৯৩টি টেস্ট, ১২৫টি ওয়ানডে ও ৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন স্টেইন। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড তার দখলে। সাদা পোশাকে ২২.৯৫ গড়ে তার উইকেটসংখ্যা ৪৩৯টি। টেস্টে সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকাতে স্টেইন আছেন অষ্টম স্থানে। কেবল পেসারদের মধ্যে তার অবস্থান পাঁচ নম্বরে। ওয়ানডেতে ২৫.৯৫ গড়ে ১৯৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৮.৩৫ গড়ে ৬৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্টেইনের সবশেষ ম্যাচ ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে ম্যাচটি হেরেছিল ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তিনি শেষবার মাঠে নেমেছিলেন চলতি বছরের মার্চে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ১ উইকেট পেতে ৩৪ রান খরচ করেছিলেন তিনি।