সাতক্ষীরা

সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ; মিজানুর রহমান বাপ্পির আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ বাতিল

By Daily Satkhira

May 28, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক :  জালিয়াতির মাধ্যমে সনদপত্র তৈরি করে নয় বছর ধরে আইনজীবী সেজে বিচারপ্রার্থীদের প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সদস্য কথিত অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বাপ্পির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড, ওসমান গনি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়।  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেলার শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হইয়া ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। তার শিক্ষা সনদ জাল (এলএলবি) মর্মে গোপন সূত্রে জানতে পেরে মূল কাগজপত্র দাখিলের জন্য আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তার পাসপোর্ট, প্রভিশনাল সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকাপি সংযুক্ত করে জবাব দাখিল করেন। গত ২৩ মে তার উপস্থিতিতে কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় শুনানী গ্রহণ করা হয়। এ সময় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তার এলএলবি সার্টিফিকেটটি জাল বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ওসমান গনি জানান, তাদের এ আদেশ সংক্রান্ত চিঠি খুব শ্রীঘ্রই ঢাকা বার কাউন্সিলে পাঠানো হবে। এ আদেশের অনুলিপি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজ, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঢাকা বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দেওয়ার নামে সাতক্ষীরা জজ আদলতে কমপক্ষে ৩০ জন কোর্ট টাই পরে আইনজীবী সেজে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তাদেরকে শিক্ষা নবীশ হিসেবে প্রত্যয়ন বা কার্ড সংগ্রহের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। যারা সেটা না মেনে কাজ চালিয়ে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতি খুব শ্রীঘ্র ব্যবস্থা নেবে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য জানান, সনদ জালিয়াতি করে জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করার সুবাদে জাতীয়দাবাদি আইনজীবী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা রাখতের মিজানুর রহমান বাপ্পি। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির দু’বার নির্বাহী সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। আওয়ামী সরকার বিরোধী ও আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বিগত আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বন্ধ করতে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ মিজানুর রহমান কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।