কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া, বাটরা, পাঁচপোতা এলাকায় আওয়ামীলীগের দুু-গ্রুপের সংঘর্র্ষে প্রতিপক্ষের পৃৃথক হামলায় নারীসহ ৮ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু-গ্রুপের সংঘর্র্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৬জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামে, ৮টার দিকে বাটরা গ্রামে ও ৯ টার দিকে পাঁচপোতা গ্রামে পৃথক স্থানে ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হল লাঙ্গঝাড়া গ্রামের মানিক সরদারের দুই ছেলে মোমরেজ (৪৬) ও মুসা করিম (২২), একই গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে হারুন (৪৮) ও তার চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৬), বাটরা গ্রামের মোল্লাহ পাড়ার মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে গোলাম রব্বানী (৪২), সরদার পাড়ার মৃৃত মুক্তিযোদ্ধা আফসার সরদারের ছেলে আব্দুস সামাদ (৩৮), পাঁচপোতা গ্রামের হারান সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৩০)। বাটরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আমজাদ হোসেনসহ দুু-গ্রুপের ৬ আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করা হয়। তারা হল আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস গফ্ফার, আব্দুল হামিদ, আব্দুল মালেক, মোখলেছুর রহমান ও আব্দুুস ছাত্তার। হাসপাতালে আহত ব্যক্তি লাঙ্গলঝাড়ার মোমরেজ জানান, শুক্রবার বিকালে লাঙ্গলঝাড়া কামারপাড়ার মাঠে ফয়সাল ও হাসানের নেতৃত্বে জুনিয়র ক্রিকেট খেলার অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেট খেলায় হাসানের দল জয়ী হয়ে ফয়সালের দল হেরে যায়। ফয়সালের দল হেরে যেয়ে হাসানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সাল হাসানকে মারমুখি আচারণ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় মাঠের পাশে পুকুরে গোসল করতে নেমে উভয় দলের সহকর্মীরা হাসান ও ফয়সালের সাথে পানিতে কথা কাটাকাটি করে। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল হাসানকে পুকুরের পানির নিচে মাথা চেপে ধরে হাসানকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। হাসানের সহকর্র্মীরা পানির মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে লাঙ্গলঝাড়া বাজারে আব্দুর রশিদ ডাক্তারের নিকট নিয়ে আসেন। ডাক্তার চিকিৎসা শেষ করিয়ে ৩ঘন্টা পর হাসানের জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে বাসায় নিয়ে যায়। এরই জের ধরে সুযোগ বুঝে শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দুু-গ্রুপের হামলায় মোমরেজ, মুসা করিম, হারুন, মান্নান, বাশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারামারি করে জখম হয়। অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাবির নামাজের সময় বাটরা সানাপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের হামলায় গোলাম রব্বানী, আব্দুস সামাদ আহত হয়ে জখম হয়। এছাড়া একই রাতে পাঁচপোতা গ্রামের ঘর বাঁধাকে কেন্দ্র্র করে শহিদুলের নিজ জায়গায় কচাগাছ থাকায় তা কর্র্তন করে প্রতিপক্ষ মোখলেছুর, লাল্টুু, ও নাজমুল দু-দফায় হামলা চালিয়ে জায়গার মালিক শহিদুুল ও তার স্ত্রী জাহানারাকে এ্যলোপাতারী বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। বর্র্তমানে আহতরা কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের মাথাকাটাসহ শরীলের বিভিন্ন অংশে আঘাটে চিহ্ন ফোলা জখম হয়। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আটকদের সাতক্ষীরা জেল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।