দেশের খবর : উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে-এমন বিধানসহ উপজেলার কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্নিষ্ট বিধি ও প্রজ্ঞাপন যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য এই আদেশের বিষয়টি তুলে ধরে ইউএনওদের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করতেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাইকোর্টে রিটটি করেন। পরে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি অনুমোদনের জন্য ইউএনও’র মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে-এমন বিধান কার্যকরের নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারীরা। মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের মুল চেতনা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ পরিচালিত হবে। এ কাজে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা দেবে প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ আইন, উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমামলার (১৪৯১) উপবিধি ও ২০১০ সালের ১৭ জুনের প্রজ্ঞাপনেও তাই বলা আছে। কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে ইউএনও পরিষদের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যা আইন ও বিধির পরিপন্থী। এ কারণে ওই উপবিধি ও প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়ন চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হলে হাইকোর্ট তা যথাযথভাবে প্রতিপালনের আদেশ দিয়েছেন।