জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ; সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

By Daily Satkhira

May 29, 2017

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-র কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ‘সাত নম্বর বিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৯ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রবিবার (২৮ মে) সকাল ৯টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ১৮ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪/৫ ফুট বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা থেকে ক্রম অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মোরা’ (MORA)। এটি থ্যাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম।