ফিচার

সাতক্ষীরা সকাল পর্যন্ত ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, ভেসে গেছে মৎস্য ও চিংড়ি ঘের

By Daily Satkhira

September 20, 2021

দেশের খবর : গত দুইদিন ধরে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভ্ন্নি অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গতকাল সকাল ৬ টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। ব্যাপক বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ও মৎস্য ঘের। সাতক্ষীরা পৌর সভার নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পানি উঠে গেছে অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানেও। আগে থেকে বেড়িবাধ ভেঙে ও উপছে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার উপকূলীয় ইউনিয়ন প্রতাপনগরের পানিবন্দী মানুষের জীবনে নতুন করে দুর্ভোগ নেমে এসছে এই বৃষ্টিতে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সোমবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আজ সোমবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু স্থানে এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় সর্বোচ্চ ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৯০, সাতক্ষীরায় ৬৮, যশোরে ৬১, মংলায় ৫৫, মাইজদীকোর্টে ৫১, মাদারীপুরে ৪৩, পটুয়াখালীতে ৪২ ও কক্সবাজারে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল রোববার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মোংলা ও সীতাকুণ্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আজ সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে।