গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ী সীমিত করি শ্লোগানে সাতক্ষীরায় বিশ^ ব্যক্তিগত গাড়ী মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান মৌমাছি, মিডা,সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, মৃত্তিকা, প্রভা,সবুজ ফাউন্ডেশনও নারীকন্ঠ’র যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ। সকাল ১১ টায় র্যালির শুভ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমান। র্যালি শেষে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন, মৃত্তিকার নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, সিডিপি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী খোকন শিকদার। উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ আফজাল হোসেন, মিডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক দুলাল চন্দ্র দাস, মৌমাছি’র নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত মল্লিক, প্রভা’র নির্বাহী পরিচালক শাম্মী আক্তার কুমকুম, নারী কন্ঠ’র ফিল্ড কোডিনেটর নজিফা খাতুন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এ দিবসটির উৎপত্তি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক ও লেখক ইয়ান জ্যাকবস তার দি ডেথ অ্যান্ড লাইফ অব গ্রেট আমেরিকান সিটিস বইয়ে ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে় প্রথম ধারণা দেন। এটি নগর পরিকল্পনায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৬২ সাল থেকে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে সড়কে গাড়ী চল বন্ধ করে শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তারা এই ধারা অব্যাহত রেখেছে। এরপর ইউরোপে এই ধারণাটির প্রসার ঘটতে শুরু করে।
ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আরও ব্যাপকতা লাভ করে ৭০ দশকে জ্বালানি সংকটের সময়। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। নব্বই এর দশকে এই উদ্যোগের আরও প্রসার ঘটে। যেমন বিশ্বব্যাপী কারফ্রি সিটি নেটওয়ার্ক গড়ে় ওঠে। এরপর ১৯৯৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে ৩৪টি শহরে গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয়।
‘যান্ত্রিক বাহনকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যে বায়ু দূষণরোধ করা সম্ভব, তা এ সময় প্রতিয়মান হয়েছে। এজন্যই সারাবিশ্বে এখন পরিবেশবান্ধব নগর যাতায়াতকে প্রধান্য দিয়ে হাঁটা ও সাইকেলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভূমির মিশ্র ব্যবহার হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এই মিশ্র এলাকাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে শৃঙ্খলা ও বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ঢাকা শহরে ভূমির এই মিশ্র ব্যবহার স্বল্প দূরত্বে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করছে। বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ যাতায়াত ৫ কিমি এর মধ্যে, যার অর্ধেক যাতায়াত আবার ২ কিমি এর মধ্যে হয়ে থাকে। এই স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য সাইকেলে ও হেঁটে নিরাপদে চলাচলের পরিবেশ তৈরি করা এবং অধিক দূরত্বের জন্য গণপরিবহন নিশ্চিত করা গেলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি