নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রথমে বিবাহের প্রতিশ্রুতিতে একাধিক নারীকে ফুশলিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন। পরে বিয়ের ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে প্রতারণার ঘটনায় এক যুবককে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা আমলী ৮ নং আদালত ওই লম্পট মেসবাউল আলমকে কারাগারে প্রেরণ করে।
মেসবাউল আলম আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র মেসবাউল আলম। সে বুধহাটা বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকির শাখা অফিস পরিচালনা করে আসছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেসবাউল আলম বুধহাটা বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকির শাখা অফিস পরিচালনার সুবাদে বুধহাটা এলাকার মালেক ঢালীর কন্যা শামীমা ইয়াসমিনের সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে পূর্বের স্ত্রী সন্তান থাকার কথা গোপন করে মেসবাউল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছুদিন পর বিবাহের প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতারক মেসবাউল আলম এবং খুলনায় নিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে বিবাহের নাটক করে। পরে শামীমা তাকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দিলে সে বিবাহের কথা অস্বীকার করে এবং শামীমাকে পাগল বলে উপহাস করে। এঘটনায় উপায়ন্তর করে ভুক্তভোগী শামীমা ইয়াসমিন আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মেসবাউল আলম ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে একই ভাবে প্রতারক মেসবাউল আশাশুনির শোভনালীর আ: মজিদ পাড়ের কন্যা শরিফাতুন্নেছার সাথেও বিবাহের নাটক করে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে অস্বীকার করে হাকিয়ে দেয়। এঘটনায় উপায়ন্তর হয়ে শরিফাতুন্নেছাও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা ওই প্রতারক মেসবাউলের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। যাতে মেসবাউলের মত প্রতারকদের কাছে আর কোন মেয়ে প্রতারিত না হয়।