আওয়ামী লীগ

সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা : ২০ বছর পর আসামি কনক গ্রেফতার

By Daily Satkhira

September 27, 2021

বিশেষ ডেস্ক : তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. তারিকুজ্জামান ওরফে কনককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হামলার ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কনককে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় মিরপুরের একশ ফুট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম জানান, মিরপুরের একশ ফুট এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় জড়িত দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারিকুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার তারিকুজ্জামান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িবহরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালে সাতক্ষীরায় সমাবেশ করে কলারোয়া থানা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করেছিলেন। পথে কলারোয়া থানাধীন তুলশীডাঙ্গায় তার গাড়িবহরে হামলা হয়। হামলার দিন তারিকুজ্জামান সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় থানা বিএনপির পার্টি অফিসে নেতাকর্মীর সঙ্গে মিলিত হন। পার্টি অফিসে নেতাদের মাধ্যমে জানতে পারেন শেখ হাসিনা কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাবেন।

খবর পেয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কলারোয়া থানার তুলশীডাঙ্গায় মেইন রোডে যান তিনি। এরপর একটি যাত্রীবাহী বাস অন্যান্য নেতাকর্মীদের সহায়তায় রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে যানজটের সৃষ্টি করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কলারোয়া থানার ওসি রাস্তার যানজট ছাড়াতে ঘটনাস্থলে আসেন এবং বাসটি সরিয়ে ফেলেন। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার গাড়িবহর চলে এলে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালান তারিকুজ্জামান।

শেখ হাসিনার গাড়ি কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও তৎকালীন এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের গাড়িসহ অন্যান্য গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। এতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা কলারোয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।