নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ গণটিকা কার্যক্রম চলাকালে এক স্বাস্থ্য কর্মীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে ইয়ারব হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়নের তুজুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়ারাব হোসেন ওই গ্রামের ইছহাক আলী মোড়লের ছেলে এবং দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙা গ্রামের গোলাম সানার ছেলে ঝাউডাঙা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারি মনিরুজ্জামান কে মারপিটের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি এম্পুলে সিনোফার্মা কোম্পানীর পাঁচটি করে টিকা থাকে। সেকারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পাঁচজনকে একই সারিতে বসিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। সকাল ১০টার দিকে তুজুলপুর গ্রামের তাদের টিকাদান কেন্দ্রে ঢুকে একটি ভয়েল থেকে একজনকে টিকা না দিয়ে পাঁজনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে কেন জানতে চান ইয়ারব হোসেন। একটি এম্পুলে পাঁচটি টিকা থাকে বলা হলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাকেসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড় ও ঘুষি মেরে মেঝেতে ফেলে লাথি মারতে থাকে। ভাংচুর করা হয় আসবাবপত্র। একপর্যায়ে অন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে ইয়ারব আস্ফোলন করতে করতে চলে যায়। তবে ইয়ারব হোসেন বলেন, টিকা প্রদান নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বচসা হয়েছে। মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঠিক নয়।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, স্বাস্থ্য সহকারি মনিরুজ্জামানকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সদর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমান তাকে জানালে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, ঝাউডাঙা অস্থায়ী টীকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুল ইসলামকে সরকারী কাজে বাধাদান ও মারপিটের অভিযোগে ইয়ারব হোনেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৮৩, তারিখ-২৮.০৯.২১। তিনি আরো জানান, তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।##