কাশিমাড়ী প্রতিনিধি : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে ঘিরে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একই সাথে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে ভোট কামনা করে ভোটারদের নিকট দোয়া চাইতে। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী গাজী আনোয়ার হোসেন মিন্টু।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আনোয়ার হোসেন (মিন্টু) বলেন, বিগত দিনে কাশিমাড়ী একটি জামাত অধ্যুষিত ইউনিয়ন ছিল। ১৯৭০ সালের দিকে এই ইউনিয়নে হাতে গোনা নামেমাত্র কয়েক জন আওয়ামীলীগ করতেন, যার মধ্যে আমার পিতা একজন উল্লেখযোগ্য। ১৯৭০ সাল থেকে আমার পিতা কওছার গাজী কাশিমাড়ীর ঘোলা ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। আমি আওয়ামীলীগ পরিবারে জন্ম গ্রহন করে প্রাইমারী স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের দুঃসময়ে শ্যামনগরের রাজপথে মিছিল মিটিংয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে।অতএব, আমি তৃণমূলে ছোটবেলা থেকে দলের দুঃসময়ের একজন নৌকার পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছি। সুতরাং কাশিমাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের পিছনের রাজনৈতিক পর্যালোচনায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে একমাত্র আমিই একক আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, কারণ আমার পিতার পরিবার। ১৯৭০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দলের দুর্দিনে মসজিদ ঈদগাহে হিন্দু হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে ও দলের আদর্শ ত্যাগ করেনি। সেই সুবাদে আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, যদি জননেত্রী দয়া করে আমার পরিবারের দিকে তাকিয়ে দলের দুঃসময়ের কর্মী হিসেবে মূল্যায়ন করে তাহলে আমি কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কে একটি মৌলবাদী সন্ত্রাস বাদী রামদা বাহিনী মুক্ত ইউনিয়ন গড়তে বদ্ধ পরিকর। এবং কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কে শ্যামনগর উপজেলার মধ্যে একটি উন্নত রোল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ্। সেই সাথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তৃণমূলে আত্মীয় করণ স্বজন প্রীতি নির্মূল করে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে উপযুক্ত মানসম্মান দিয়ে দলে চাঙ্গা করে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুফল মানুষের দোড় গড়ায় পৌঁছে দিয়ে বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই।
এছাড়া এলাকার সৎ, যোগ্য, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সবার নিকট ইতিমধ্যে পেয়েছেন গ্রহনযোগ্যতা। প্রথমবারের মত নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চেয়ারম্যান পদে সৎ ও যোগ্য হিসেবেও পছন্দের তালিকায় তাকে রেখেছেন এলাকার অনেক সুধীবৃন্দ।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা আর ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে খাসগল্পে মাতিয়ে তুলছেন চায়ের দোকানের আড্ডায়।
বর্তমানে এই ইউনিয়নের ভোটারা ভাবছেন সুষ্ঠুভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দল মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন এমন নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভাল থাকে সংশ্লিষ্টদের কাছে সেই প্রত্যাশা করছেন তারা।