অনলাইন ডেস্ক : ভয়ংকর প্রতারক মাহফুজ (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে শহরের মেসেরডাঙ্গি (শহর আালীর কবিরাজ মোড়) একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আল মাহফুজ সাতক্ষীরা শহরের মুনজিত গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই দেব কুমার দাশ জানান, প্রতারক মাহফুজের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সদরের মাহমুদ ভাড়ুখালি গ্রামরে কুয়েত প্রবাসি মেহেদী হাসানের স্ত্রী ফতেমা খাতুনের। পরিচয়ের সুত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাহফুজ ফতেমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার স্বামীকে তালাক দেওয়ায় এবং শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে রেখে দেয়। প্রতারক মাহফুজ সেখানে গোপনে যাতোয়াত করতো।
এ ঘটনায় ভুক্তভুগির শ্বাশুড়ি তার বউমাকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে সে সন্ধান পায়। তার ছেলের বিদেশ থেকে পাঠানো ৮/১০ ভরি সোনার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে মাহফুজের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে শহরের সুলতানপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। এ ঘটনায় ফতেমার শ্বশুড়ি মাহমুদ ভাড়ুখালি গ্রামের মনোয়ারা খাতুন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ব্যাভিচার ও চুরি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৯। মামলার পর সদর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে।এদিকে প্রতারক মাহফুজ গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পর তার নিজ এলাকা মুনজিতপুরে মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছে।
সে এলাকায় সাধরন মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও টাকা আদায় করতো। তার দাপটে এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছিল। নিজে এমন ভাবে চলাফেরা করতো যেন সে সাতক্ষীরা কিং। অবশেষে পুলিশের খাচায় বন্দি বহু অপকর্মের হোতা প্রতারক মাহফুজের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসি।