দেশের খবর : আজ সোমবার থেকে আবারও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
জানা গেছে, আজ লাইসেন্স বিতরণের কাজ শুরু হলেও তা পেতে একজন চালককে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যে লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক এবং মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী।
মাহবুব-ই-রব্বানী আরও জানান, সেনাবাহিনীর অধীন মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এ উদ্যোগ নিয়েছে। স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরুর ছয় মাসের মধ্যে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের কাজ শেষ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ কর্মসূচিতে প্রথমে আটকে থাকা ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। প্রায় দুই বছর ধরে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি, তাঁদের দেওয়া হবে।
যেভাবে লাইসেন্স মিলবে :
বিআরটিএ’র পরিচালক মাহবুব-ই-রব্বানী জানান, লাইসেন্স ছাপা হলে আবেদনকারী চালককে এসএমএস বা মোবাইল বার্তার মাধ্যমে সংগ্রহের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে প্রিন্ট হওয়া লাইসেন্স কার্ড প্যাকেজিং করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যিনি যে অফিসে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, তিনি সেই অফিস থেকে লাইসেন্স পাবেন। কিন্তু আজ সোমবার থেকেই লাইসেন্স হাতে পাচ্ছেন না কোনো আবেদনকারী।
মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ‘এগুলো প্রস্তুত হয়ে বিভিন্ন জেলায় সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেটে পৌঁছাতে এবং আবেদনকারীদের হাতে দিতে তিন-চার দিন সময় লাগবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পেন্ডিং সব লাইসেন্স দেওয়া শেষ করা যাবে।’
বাংলাদেশে বিআরটিএ’র ৫৪টি মাঠ পর্যায়ের অফিস রয়েছে, যার অধীনে মোট ৭০টি সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট রয়েছে। এসব সার্ভিস ডেলিভারি আউটলেট থেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে।