নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার লেলিন বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শ্যামনগর উপজেলার খলিসাবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলি গাইনের ছেলে জি.এম আবিয়ার রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গাবুরা ইউনিয়নের খলিসাবুনিয়া গ্রামের মৃত নওশের আলী গাইনের পুত্র শফিউল আজম (লেলিন) একজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও ডাকাত দলের নেতা।
সে গাবুরা ইউনিয়নসহ অত্র এলাকায় তার বাহিনীর মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে জনসাধারণের নিকট থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে। তার নিজস্ব কোন ব্যবসা বাণিজ্য, জায়গা ও আয় রোজগার নাই। অথচ সে আলিসান বাড়িতে বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। এলাকায় সে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। বিমানে ঢাকায় যাতায়াত করে।
দামী গাড়ী ব্যবহার করে। তার বাহিনীর সদস্য একই এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ওসমান আলী, আতাউর রহমান, ইমরান হোসেন, ইমাম হোসেন (ছদ্ম নাম নাজমুল হুদা), মনিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান খোকা, হোসেন আলী, ওয়েসকুরুনী, পাতখালী গ্রামের মাহামুদুন্নবী, আবুল বাসার ও ইসমাইলসহ অজ্ঞাত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় এবং লেলিন বাহিনীর অন্যায়, অত্যাচার ও চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় সে বিভিন্ন সময় আমার জীবন নাশের হুমকি দেয়।
সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাকে খুন জখম ও জীবননাশের হুমকিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরন করে খুন করার পর লাশ গুম করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আমার বসত বাড়িতে ঢিল, ইট, পাটকেল ছুড়ে চালের এ্যালবেষ্টর ভেঙ্গে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে আমার প্রতিবন্ধী পুত্র আব্দুল্লাহকে মারধর করে এবং ভবিষ্যতে খুন করে লাশ নদীর পানিতে ফেলে দিবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে আমার বসত বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। লেলিন বাহিনী সন্ত্রাসীরা আমার বসত বাড়ির চারিধারে সশস্ত্র অবস্থায় পাহারা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি
করছে। বিভিন্ন সময়ে আমি বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছি। পুলিশ সুপারের কাছে একাধিক অভিযোগও দিয়েছি। গত ১১ অক্টোবর আমার পুত্র আয়তুল্লাহ’র কাছ থাকা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তার বাহিনীর দুধর্ষ সন্ত্রাসী ওসমান। বর্তমানে লেলিন ও তার বাহিনী এলাকার মৎস্যঘের থেকে আাটল ঝেড়ে মাছ চুরি করছে। তার কারণে বর্তমানে গাবুরার শতাধিক ঘের মালিক ঘের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। রাতে ঘেরের বাসায় গিয়ে ঘেরের কর্মচারীদের মারপিট করে মাছ লুট ও চাঁদাদাবি করছে তারা বাহিনীর সদস্যরা। তার কারনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। লেলিন
আওয়ামীলীগ নেতা হয়েও সাংসদ, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সবসময় বিরোধীতা করে। তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে লেলিন বাহিনীর সদস্যরা আমার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা ও মাদক রেখে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমার ভোটের পোস্টার ছিড়ে দেবে ও কর্মী সমর্থকদের মারপিট করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী লেলিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##