সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় বিশ্ব খাদ্য দিবসে জীবিকা, খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে’খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়ণের দাবি

By daily satkhira

October 14, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : সকল মানুষের জীবিকা, খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার দাবিতে মাসব্যাপী খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান ২০২১ এর অংশ হিসাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেসরকারি এনজিও প্রগতির আয়োজনে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশর’র সহযোগিতায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর পাঠ কক্ষে ক্যাব সাতক্ষীরা’র উপদেষ্টা প্রফেসর আব্দুল হামিদ’র সভাপতিত্বে উন্নয়ন সংগঠন প্রগতি’র পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সনাক সভাপতি অধ্যক্ষ পবিত্র মোহন দাশ, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবেদুর রহমান সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, ক্রিসেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো, আবু জাফর সিদ্দিকী, বরসা’র সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম মুন্না, হেড সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন, কবি জহুরুল কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে জীবন ধারণের মৌলিক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও ২০২০সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তাসূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে।

অন্য দিকে গবেষক করা বলছে, করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পরিবার গুলোর আয় ২০.২৪ শতাংশ কমেছে। তাই দেশের সকল মানুষের জীবিকা, সংস্কৃতি ভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এখনই জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইড লাইনের আলোকে দেশে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা জরুরি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরার স্থানীয় সমস্যা পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা করা হবে। নানা প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতার নিরসনে ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা এমন কোন সমস্যার সৃষ্টি করবো না যাতে আমাদের উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হয়। সাতক্ষীরায় কৃষি বিশ^বিদ্যালয় হবে, রেল লাইন হবে, আশাশুনি থেকে বিনেরপোতা পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা তৈরি হবে।

সরকারের বরাদ্দকৃত ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আমলাতান্ত্রিক গড়িমসি রয়েছে। আমাদের একতাবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলে উন্নত সাতক্ষীরা গঠিত হবে। যা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করবে।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে পুষ্টি অধিকারের লিঙ্গ ভিত্তিক বিবেচনায় নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ নারীই কোননা কোন অপুষ্টি জনিত জটিলতায় ভুগছেন। ১৯৯৭ সালে দেশের ৬০ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির ছিল, ২০১৮ সালে তা নেমে আসে ৩১ শতাংশে। তারপরও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খর্বাকৃতির শিশু জন্মের হার এখনও বাংলাদেশে বেশি। এর মূলকারণ শিশুর মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই সকল মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে।