নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে ছাত্রী অপহরণ চেষ্টা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের পুত্র ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান পল্টু এবং সিরাজুল গাজীর পুত্র ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল গাজী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, হিজলিয়া গ্রামের সোহরাব গাজীর কলেজ পড়–য়া কন্যা (১৭) কে বিভিন্ন সময়ে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল লাঙ্গলদাড়ীয়া গ্রামের মিজানুর গাজীর পুত্র ইব্রাহীম গাজী। এর জের ধরে গত ১৫ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লাঙ্গলদাড়িয়া রাস্তার উপর একা পেয়ে ইব্রাহীম গাজী ও জুয়েল গাজী কলেজ পড়–য়া কন্যার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর কন্যার ভাই হুমায়ুন কবিরসহ অন্যরা প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়। পরের দিন ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান পল্টুর নেতৃত্বে ইব্রাহিম, জুয়েল গাজী, মৃত. আনছার গাজীর পুত্র মিজানুর গাজী, কলিমাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রফি সরদার, আব্দুস সবুর সরদার, আব্দুল আজিজ সরদারের পুত্র মিন্টু সরদার, এরমান সরদারের পুত্র উজ্জল সরদার, আব্দুল জব্বারের পুত্র সুন্দর আলী ও এফাজ উদ্দীনের পুত্র আব্দুল আজিজসহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোহরাব হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার কন্যাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এতে ভুক্তভোগীর ভাই হুমায়ুন কবির বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী কন্যার পিতা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ০৯, তাং- ১৮.১০.২০২১।
উক্ত মামলায় মঙ্গলবার আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে উল্লেখিত আসামীদের মধ্যে আজিজুর রহমান পল্টু ও সুন্দরআলী জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগীর কন্যার পিতা সোহরাব হোসেন জানান, বর্তমানে মামলা তুলে নিতে আসামীদের স্বজনরা বিভিন্ন মাধ্যমে খুন জখমসহ হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। তিনি আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।