খেলার খবর : দারুণ ছন্দে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর এবার মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান পাকিস্তান। এদিন, টস জিতে কিউয়িদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ৮ বল বাকি থাকতেই।
টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩৪ মোটেও বড় রান নয়। ভারতের বিরুদ্ধে শুরুতেই মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ডারিল মিচেলকে উইকেটে বেশিক্ষন টিকে থাকতে দেননি পাকিস্তানি বোলাররা। গাপটিল বড় শট খেলতে দক্ষ। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়ে ওঠার আগেই হ্যারিস রাউফের বলে বোল্ড হন গাপটিল (১৭)। অপর ওপেনার ডারিল মিচেল করেন ২৭ রান। কিউয়িদের রান তখন ২ উইকেটে ৫৪। এরপর ফেরেন নিশাম (১)। দ্রুত উইকেট হারানোর ফলে নিউজিল্যান্ডের রান তোলার গতি কমে যায়।
যে কোনও ফরম্যাটের ক্রিকেটে কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ব্যাটার। ঠিক যখন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছেন উইলিয়ামসন (২৫), তখনই হাসান আলি রান আউট করেন তাকে। আগের ওভারেই মোহম্মদ হাফিজকে মাঠের বাইরে ফেলেছিলেন উইলিয়ামসন। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে কিউইদের রান তোলার গতি আরও কমে যায়। ডেভিড কনওয়ে ২৭ রান করলেও পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা রান পাননি। উল্টে পাকিস্তানি বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন। হ্যারিস রাউফ চারটি উইকেট নেন। শাহিন আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহম্মদ হাফিজ একটি করে উইকেট নেন।
বাবর আজম ও রিজওয়ান জুটি যে কোনও দলের বোলিং আক্রমণ ধ্বংস করতে দক্ষ। এই ম্যাচে বাবর আজম রান পাননি। সাউদির বলে মাত্র ৯ রানে আউট হন তিনি। পাকিস্তানের রান তখন ২৮। ফখর জামান (১১) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। স্যান্টনারকে মারতে গিয়ে আউট হন হাফিজ (১১)। লং অফে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন কনওয়ে। এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ক্যাচ এটি। ভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলা রিজওয়ান (৩৩) সাজঘরে ফেরেন সোধির বলে।
পাকিস্তানের রান তখন ৪ উইকেটে ৬৯। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন অভিজ্ঞ ইমাদ ওয়াসিম (১০)। ইমাদের বিদায়ের পর কিন্তু অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ম্যাচের হাল ধরেন। তবে আসিফের শেষের ঝড়েই পাকিস্তান যে জয় তুলে নেয় সেটা বলাই যায়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১২ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। অপরদিকে ২০ বলে ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দল জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মালিক।
নিউজিল্যান্ড: ১৩৪/৮ পাকিস্তান: ১৩৫/৫ পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী