নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির শ্রীউলায় যৌতুকের দাবিতে ৪ বছর শিশু সন্তানের সামনে শ^াসরোধ কে স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার রাতে আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবক বকচর গ্রামের নবাব আলীর পুত্র ইমরান হোসেন।
ভুক্তভোগীর পিতা শাহজাহান আলী জানান, আমি দরিদ্র ভ্যান চালক। আমার কন্যা মমতাজ সবে হাইস্কুল শেষ করে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে পড়াশোনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে সময় দাদা বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে ইমরানের সাথে আমার কন্যার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু ইমরান অশিক্ষিত হওয়ায় আমি তার বিবাহ দিতে রাজি হয়নি। সে সময় ইমরান কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে আবার আমার ভাইয়েরা চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য করে তোলে এবং উপায়ন্তর হয়ে বিগত ২০১৬ সালের দিকে ইমরানের সাথে কন্যার বিবাহ দেই। কিন্তু বিবাহের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে কন্যাকে অমানষিক নির্যাতন, মারপিট এবং একাধিকবার হত্যা চেস্টাও চালিয়েছে ইমরান। আমার কন্যা নিজের পছন্দে বিবাহ করায় নিরবে সহ্য করে যাচ্ছিল।
ইতোমধ্যে ইমরানের ঔরশে একটি কন্যা সন্তানের জন্মও হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিবার শালিসও হয়েছে। কিন্তু গত ২২ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনায় ইমরান আমার কন্যাকে বেধড়ক মারপিট করে এক পর্যায়ে তার গলায় উড়না পেছিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেই। কিন্তু শিশু কন্যার কান্নার কারনে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়। আমার স্ত্রী পর দিন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার গলায়, মাথায় এবং কানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মমতাজ জানান, পিতার গরিব মানুষ হওয়ায় অনেক সহ্য করেছি। আর পারছি না। আমাকে হয়তো এবার হত্যা করে ফেলবে। এদিকে পিতার অভাবের সংসার। এপর্যন্ত স্বামীর দাবি মোতাবেক নগদ অর্থসহ অনেক দাবি পূরণ করা হয়েছে। এখনো প্রায় টাকা দাবি করে মারপিট করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মমতাজ ওই যৌতুক লোভী স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন।