‘ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি। তাই ময়ূর পবিত্র। আর এই পবিত্র পাখি ময়ূর যৌনমিলন করে না। ময়ূর গর্ভবতী হয় চোখের জল পান করে।’ গত বুধবার একটি রায় পাস করার সময় এ বক্তব্য দেন দেশটির রাজস্থান রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারক মহেশ চন্দ্র শর্মা।
আদালতে দেওয়া ওই বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন এনডিটিভির এক সাংবাদিক। ওই সাংবাদিকের কাছে বিচারপতি মহেশচন্দ্র জানান, দেশের জাতীয় পাখির মর্যাদা পাওয়া ময়ূর ‘আজীবন ব্রহ্মচারী’। আর তাই ময়ূর ময়ূরীর সঙ্গে মিলিত হয় না।
এর আগে গতকাল বুধবার এক আপিলের রায়ে গরুকে ভারতের জাতীয় পশু করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেন রাজস্থান হাইকোর্ট। এ ছাড়া গো-হত্যা করলে যাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, তার জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় আইন পাস করতে বলে হাইকোর্ট।
এদিকে, বিচারপতির এহেন অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মার জ্ঞানের পরিধি নিয়েও ঠাট্টা-মশকরা করছেন।
এ বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী ও খ্যাতনামা বিজ্ঞানবক্তা ঋদ্ধিমান ত্রিবেদি তাঁর টুইটারে লেখেন, ময়ূরের চোখের জল পান করে গর্ভবতী হয় ময়ূরী—এমন ধারণা সম্মানিত বিচারপতির কল্পনার ফসল নয়। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের মধ্যে এটিও একটি।