নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রীর কর্তৃক ২ বছরের মধ্যে বিড়ি বিদায় করার ঘোষণা প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলার শাখার আয়োজনে প্লেট ও গ্লাস নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ক কাজী ওয়াহিদুজ্জামান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, তৌহিদুর ইসলাম, রায়হান, জিয়াউর রহমান, মো: ফারুক হোসেন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন আগামী ২ বছরের মধ্যে দেশ থেকে বিড়ি বিদায় করতে চাই” এটি কোন মন্ত্রীর বক্তব্য হতে পারে না। কারণ তার জানা উচিত বিড়ি একটি শিল্প। এ শিল্পে প্রায় ১৭ লক্ষ শ্রমিক সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্ত নারীরাই এ বিড়ি শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো সিগারেট কিনতে পারে না। তারা কম টাকায় বিড়ি কিনেন। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী এসব মানুষের কথা না ভেবে তিনি বাংলাদেশ থেকে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করে সিগারেটের সুযোগ করে দিতে চান। অথচ সিগারেটের থেকে বিড়ি থেকেই বেশি রাজস্ব পায় সরকার এবং বিড়ি শিল্পের সাথে ১৭ লক্ষ শ্রমিকের জীবন জীবিকা জড়িয়ে আছে। তারা কর্মহীন হয়ে যাবে। না খেয়ে মরতে হবে ১৭ লক্ষ শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের। মন্ত্রী শ্রমিকদের কথা না ভেবে এ ধরনের ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা। এসময় তারা ৬দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো- দুই বছরের মধ্যে বিড়ি বিদায় করার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, বিড়ির উপর প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে, সিগারেটের উপর পক্ষপাতিত্ব মূলক শুল্কনীতি বন্ধ করতে হবে, বিড়ি শিল্পবন্ধ করার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মহীন করা যাবে না, বিড়ি শিল্পের প্রতি বিমাতা শুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে ও ব্রিটিশ টোবাকোর প্রতি বিশেষ আনুকুল্য প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।