খন্দকার আনিসুর রহমান আনিস : ব্যাপক অনিয়মের পর এলাকাবাসীর চাপের মূখে যেনতেন করে তৈরী করা রাস্তার ইট তুলে নিয়ে পুনরায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুনরায় শুরু করেছে অনিয়ম। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা ব্রীজ সংলগ্ন দুই পাড়ের মোট ৫‘শ’ মিটার রাস্তায় হয় এ অনিময়। তবে ঠিকাদার নুরুল ও হামিদ কৌশলে পুনরায় তুলে ফেলা ইট দিয়ে নির্ধারিত জায়গায় রাস্তা সংস্কার’র কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে এলাকাবাসী একাধিক অভিযোগ করেও ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন লাভ হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার মাছখোলা স্বপ্ন মাছখোলা ব্রীজ। সেই স্বপ্ন পূরণ হবার পর ব্রীজের দুই পাশে মোট ৫‘শ’ মিটার মাটির রাস্তার ২৯লক্ষ টাকার হেরিংবনের কাজ শুরু হয়। সদর উপজেলার কাজটি এলজিইডি দেখ ভাল করছেন। কিন্তু কাজে ১নং ইট ও ৯ইঞ্চি বালি দেয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা না করে যেন তেন বালি ও ২নং ইট দিয়ে ওই রাস্তার কাজের শেষ নামান। কিন্তু কাজে ব্যাপক অনিয়ম করায় স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রতিরোধে ওই রাস্তার ইট তুলে ফেলতে বাধ্য হয় ঠিকাদার। পুনরায় ভাল মানের সরঞ্জাম দিয়ে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় ওই ঠিকাদার। কিন্তু কয়লা ধুলে যায়না ময়লা। তেমনি কাজ করছেন ঠিকাদার নূরুল ও হামিদ। তারা এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাস্তার কাজের নামে পুকুর চুরি করছেন ওই দুই ঠিকাদার। সেই যেন তেন বালি ও নি¤œ মানের ইট দিয়ে তিনি কাজের গতি বাড়িয়ে শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ঠিকাদার নূরুলের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তার মাটি বসে যাওয়ায় পুনরায় রাস্তার কাজ শুরু করেছি। তবে কাজে সকল অনিয়মের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এব্যাপারে এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।