বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া-জর্দ্দা নদী পারাপারের সাঁকোর মুখের রাস্তা অবমুক্ত করনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি। মরিচ্চাপ নদীর কুঁন্দুড়িয়া-জর্দ্দা বাঁশের সাঁকো দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকার মানুষ নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার করে আসছে। মরিচ্চাপ নদী সংকীর্ণ হওয়ায় এলাকার মানুষ সহজে নদী পারের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ব্যবহার করে আসছে। এই সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন কুঁন্দুড়িয়া, জর্দ্দা, বাঁকড়া, কামালকাটি গ্রামের কিছু মানুষ পারাপার হয়ে আসছিল। কয়েক বছর থেকে পাশ্ববর্তী বাঁকড়া ও কামালকাটিতে মান সম্মত সেতু তৈরি হওয়ায় এই সাঁকোর গুরুত্ব কমে গেলে এলাকাবাসি সাঁকোয় চলাচলের ৫শতক পরিমান পথের জায়গা পাশ্ববর্তী জমির মালিক রহল আমিনকে মৎস্য ঘের করার জন্য হারি হিসাবে দিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসির সম্মতিক্রমে এই হারির টাকা স্থানীয় মন্দিরের উন্নয়নে খরজ করত মন্দির কমিটি। এই সাঁকোর স্থানে এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের নৌকা এনে রাখতেন এবং মাছ ও জাল ওঠানো নামানো করতেন। আর এই সাঁকোয় আসা যাওয়ার জন্য ছিল ২/৩ হাত চওড়া মাটির রাস্তা। যেটি দিয়ে মানুষ যাতয়াত করতেন। সরেজমিন দেখাগেছে, রহুল আমিন সাঁকোয় যাতায়াতের ভেড়ির কিছু অংশ কেটে ঘেরের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। নদীর চর ভরাটের পর চরে শত শত পরিবার ঘর বেধে বসবাস করছেন। এমনকি অভিযুক্ত রুহলআমিনের ঘরও সেই সাঁকোয় যাতায়াতের পথের মুখে। ফলে কম বেশি যারা সাঁকো ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তারা এখন যাতয়াত করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরকে কারো ঘেরের রিং বাঁধের উপর দিয়ে যাতয়াত করতে হচ্ছে। এলাকাবাসির মতে অন্যের রিং ভেড়ি দিয়ে বেশি দিন চলাচল করতে দিবে না। তখন সাঁকো ব্যবহার কারিরা বিপদে পড়বে। অভিযুক্ত রুহলআমিন জানান, সাঁকোটি ব্যবহার হত না বিধায় এলাকার মাতব্বর ও মন্দির কমিটির লোকেরা আমার থেকে বছরে ৩ হাজার টাকা হারি হিসাবে নেয় যা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যবহার হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।