আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ ১৮ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন পত্র গ্রহনের দিন। এমন ঘোষনায় মনোনয়নপত্র কিনতে এসে কাউকে না পেয়ে রেড ক্রিসেন্ট ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে সাধারন ভোটাররা। এর ফলে ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যালয়ের অফিস-সহকারী কামরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি শেখ নুরুল হক। যদিও পুলিশ এক ঘন্টা পরে তাদের উদ্ধার করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট অফিসে।
রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা জানান, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২২-২৪ এর নির্বাচন আগামী ৪ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী তফশীল অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহের সময় ধার্য্য ছিলো। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন ভোটাররা মনোনয় ক্রয় করতে গেলে অফিসে কেউ নেই বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এসময় মনোনয়ন ক্রয় করতে আসেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন এবং আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুজ্জামান রাশিসহ ৩০/৩৫ জন। পরে ক্ষুদ্ধ ভোটাররা রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। মনোনয়ন সংগ্রহে আগ্রহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন জানান, আমরা দেখতে পাই অফিসে নির্বাচন কমিশনার তামিম আহমেদ সোহাগ ও সদস্য সচিব কেউই উপস্থিত নেই। তারা কোথায় এবং কখন আসবেন তাও কেউ বলতে পারেন নি। এমন অবস্থায় বিক্ষুব্ধ হয়ে আমরা ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেই।
সেখানে উপস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান জানান, মনোনয়ন ক্রয় করতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ পেয়ে আমি রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের সামনে আসি। সেখানে এসে দেখি ক্ষুদ্ধ ভোটাররা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তামীম আহমেদ সোহাগ জানান, আমি সকালে একবার গিয়েছিলাম। পরে চলে এসেছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ জানান, আমি অসুস্থ্য ঢাকায় আছি। এছাড়া সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম বলেন, আমি বাইরে আছি রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে যেতে পারিনি। সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উপ-পরিচালক আক্তার হোসেন জানান, আমার শ্বশুর মারা যাওয়ায় আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র জানান, আমি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। ততক্ষনে কিছুই ঘটেনি। পরের কোনো খবর আমার জানা নেই।##