নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তার নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন,উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের আলহাজ¦ মৃত সমশের আলীর পুত্র ভুক্তভোগী স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম রবিউল্যাহ বাহার। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আসন্ন ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ইউনিয়নে আমিসহ মোট ৬জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছি। এলক্ষে প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাতপর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোটপ্রার্থনা করছি। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী সাফিয়া পারভীন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে আমাকেসহ আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাচ্ছেন।
এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সাফিয়ার একটি সাজানো ঘটনায় ১৯জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমাকেও আসামী করেছিলেন। যদিও বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিন প্রদান করেছেন। এছাড়া ৭জন অসহায় নিরিহ মানুষকে আটক করেছেন। এমনকি প্রতি নিয়ত তার কর্মী-সমর্থকরা আমার নির্বাচনী ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলছেন ।
তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাফিয়া পারভীন আমার কর্মী সমর্থকসহ ইউনিয়নের অসহায় নিরিহ মানুষের উপর হামলাসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, জোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে মারপিট করে মানুষের ভোট পাওয়া যায় না। কিন্তু সাফিয়া পারভীন প্রশাসনকে ব্যবহার করে ইউনিয়নের মানুষকে জিম্মি করে ভোটে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এজন্য তিনি কাউকে গ্রেফতার করিয়ে আবার কাউকে ছাড়িয়ে নিয়েও নিজের ক্ষমতা জাহির করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে। ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় সাফিয়া পরভীনের অপতৎপরতা বন্ধসহ ইউনিয়নের শান্তি শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে এনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষা নির্বাচনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ##