নিজস্ব প্রতিনিধি : একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে ‘রাজাকারপুত্র’ আখ্যায়িত করে বিএনপি দলীয় এক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ নেতা সাজিয়ে নৌকার মনোনয়ন নেওয়ার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। তারা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ প্রমান মোজাহার আলী সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ১৯৭১ সালে আমাদের সহায়তা দিয়েছেন। অথচ তাকে ‘রাজাকার’ বলে গালিগালাজ করে তার ছেলে পরপর ২ বারের চেয়ারম্যান সাবেক যুবলীগ নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি শাহনেওয়াজ ডালিমকে নৌকা প্রতীক মনোনয়নে বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শাহনেওয়াজ ডালিমের হাতে নৌকা প্রতীক দেখতে চান বলে জানান। এই প্রতীক যেন বিএনপি নেতা ওহিদুল ইসলামের হাতে না ওঠে সে ব্যাপারে তারা সকলকে সচেতন হবার আহবান জানান। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদুল মোল্লা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ কুমার মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, মুক্তিযোদ্ধা হায়দর আলী সহ বেশ কয়েকজন। তারা বলেন, শাহনেওয়াজ ডালিমকে প্রতিহত করতে খুলনা থেকে আসা বিএনপি নেতা ওহিদুল ইসলামকে রাতারাতি একটি কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি দেখিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে তার নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। অথচ খাজরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক হলেন শাহনেওয়াজ ডালিম ও মিলন কান্তি মন্ডল। এ বিষয়ে খুলনার বিএনপি নেতা খাজরা ইউনিয়নের বাসিন্দ ওহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন বারবার শাহনেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নৌকা প্রতীক গ্রহনের চেষ্টা করছে।
এর আগে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে একই বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল মানববন্ধন। এতে বক্তব্য রাখেন খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল, ইউপি সদস্য বিপ্লব কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রমজান আলী, আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ। তারা বলেন, চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিষ্পত্তি হওয়া ২-১টি মামলা দেখিয়ে তারা তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। একইসাথে একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করছে। তারা এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহনেওয়াজ ডালিমের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়ার আহবান জানান।