খেলার খবর : পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। জয় পেতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সফরকারীদের। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। এই সময় বল হাতে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগার অধিনায়কের করা প্রথম বলে কোনো রানই নিতে পারেননি সরফরাজ আহমেদ। দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন নাইম শেখের হাতে।
পরের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন সেট ব্যাটসম্যান হায়দার আলী। অবশ্য চতুর্থ বলে ইফতেখার আহমেদ ৯০ মিটারের বিশাল ছক্কায় পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান। পঞ্চম বলে এই ব্যাটার অফ সাইডের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলীর হাতে। শেষ বলে পাকিস্তানের জিততে দরকার ছিল ২ রান। শেষ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে মাহমুদউল্লাহকে চার মেরে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারায় পাকিস্তান। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে দাড়িয়ে থাকা নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দেন সফরকারী দলের অধিনায়ক। আউট হবার আগে তিনি ২৫ বলে ১৯ রান করেন।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান অভিষিক্ত শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি এই পেসারের শট অফ গুড লেন্থের বল কাট খেলতে গিয়ে স্ট্রাম্পে ডেকে এনে বোল্ড হন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। আউট হবার আগে অবশ্য ৪৩ বলে ৪০ রানের কার্যকারী এক ইনিংস খেলেন রিজওয়ান।
এই ম্যাচে আগের দুই ম্যাচের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ নাইম শেখ হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়ার আগেই আউট হয়েছেন ৫০ বলে ৪৭ রান করে।
তার এই ইনিংসে ছিলো দুটি করে চার এবং ছয়ের মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে প্রমোশন পাওয়া শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। পাকিস্তান সিরিজে প্রথবার খেলতে নামা এই বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন ২৩ বলে ২২ রান। আফিফ হোসেন ২১ বলে ২০ রান করে ক্যাচ আউটের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ১৩ রান। এ ছাড়া বলার মতো রান করতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন উসমান কাদির এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন অভিষিক্ত শাহনেওয়াজ ধানি এবং ইফতেখার আহমেদ।