শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যোগিন্দ্রনগর ছোট কুপট গ্রামের নারী লোভী শাহিনুর ইসলাম (৩৫) পরকীয়া প্রেমে মত্ত হয়ে স্ত্রী ময়না খাতুনের (২৪) বাম হাতের কবজী, গোপণাঙ্গ কর্তন এবং দুটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। পাষ- শাহিনুর ছোট কুপট গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস গাজীর পুত্র। মারাতœক আহত স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, তার স্বামীর সাথে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ভারতে কাজ কর্ম করে অতিকষ্টে দিনযাপন করতেন। অথচ তার স্বামী প্রায়ই যৌতুকের জন্য দফায় দফায় তার কাছ থেকে টাকা নিত। এ টাকা খরচের খাত হিসেবে স্বামীকে সন্দেহ করতে থাকে তার স্ত্রী ময়না। একদিন এক হিন্দু মহিলার সাথে উলঙ্গ অবস্থায় তার স্বামীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। স্বামীকে বুঝানোর পরও সে ওই অনৈতিক কাজ করতে থাকে এবং মদ গাজায় মত্ত থাকে। পরবর্তীতে এ কাজে বাধা দেওয়ায় তার স্বামী শাহিনুর তার ২ হাত পা বেঁধে প্রথমে লোহার শিক দিয়ে খুচিয়ে চোখ ২টি নষ্ট করে দেয়, তারপর কাতারী দিয়ে কুপিয়ে বাম হাতের কবজী কর্তন করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। অবশ্য চিকিৎসক বলছেন একটি চোখ নষ্ট হয়েছে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ময়না খাতুনকে উদ্ধার করে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ময়না খাতুন কে গত ২ জুন বাংলাদেশের তার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসলে শত শত নারী পুরুষ তাকে দেখতে ভিড় জমায় এবং পাষান্ড স্বামীকে তিরষ্কার করতে থাকে। তার এধরণের কাজে স্বামীকে উৎসাহ দিতে শাহিনুরের ভাই জহিরুল ইসলাম ও তার মা সাহায্য করে বলে ময়না খাতুন জানান। ময়নার প্রতি এ ধরণের অত্যাচার জাহিলিয়াতের যুগকেও হার মানায় বলে স্থানীয়রা জানান। তার ২ সন্তানকে পাষান্ড স্বামী শাহিনুর ভারতে আটকে রেখে আত্মগোপনে থাকায় এ ব্যাপারে তার ভাষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ময়না খাতুন শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।