আমি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পিতা- মৃত: ডা: শেখ জিয়াউর রহমান, সাং- সুলতানপুর, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা, সহ- সম্পাদক, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন, দৈনিক পত্রদূত ২২ বর্ষ ১২৬ সংখ্যা শনিবার ৩রা জুন’ ১৭ নামক সংবাদপত্রের ১ম পৃষ্ঠার ৪/৫নং কলামের “সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদে মীর মাহমুদ হাসান লাকী’র ব্যাখ্যা ও কিছু কথা” নামক মুদ্রিত ও প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জড়ীভূত করিয়া যে বক্তব্য প্রদান করা হইয়াছে উহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বিধায় আমি উক্তরূপ প্রকাশিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করিতেছি। গত ইং ৩/৬/১৭ তারিখের সংবাদপত্রে প্রকাশিত ব্যাখ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকী সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের দোকানের পূর্বের লীজ গ্রহীতার সাথে ১৫০/- টাকা মূল্যের দুটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পজেশন হস্তান্তর নামা সম্পাদন করিয়াছেন এবং তিনি গত ইং ২১/১/১৭ তারিখে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন থেকে দোকান ঘরের চুড়ান্ত পজেশন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি আমি সম্পাদিত পজেশন হস্তান্তর নামায় স্বাক্ষী আছি মর্মে উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু উল্লেখ্য ১৭,০০,০০০ (সতের লক্ষ) টাকা ডীড সম্পাদনকালে আমার উপস্থিতিতে আদৌ লেনদেন হয় নাই হেতু আমি উক্ত টাকা গুণিয়া লইয়াছি মর্মে কথিত বক্তব্য প্রকৃত সত্যের পরিপন্থীসহ আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করিবার অপপ্রয়াস হইতেছে মাত্র। উল্লেখ্য যে, আহছানিয়া মিশনের পক্ষে দোকানঘর ভাড়া সংক্রান্ত একটি উপ কমিটি আছে এবং উক্ত উপ কমিটির আমি একজন সদস্য হইতেছি। কিন্তু গ ইং ২১/০১/১৭ তারিখের সম্পাদিত দোকানঘর ভাড়া চুক্তিপত্রকালে আমি আদৌ উপস্থিত ছিলাম না। পরবর্তীতে গত ইং- ২১/০১/১৭ তারিখের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের ৫ ও ১০ নং শর্তে উল্লেখ্য বিষয়টি সম্পূর্ণ পেশীশক্তি বলে উপেক্ষা করত: আহছানিয়া মিশনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন ব্যতিরেকেই ভাড়া নেওয়া দোকানঘরটির ইচ্ছামত পরিবর্তন/পরিবর্ধন করিবার স্বার্থে উক্ত দোকানঘর ভাঙিয়া শার্টার ৩টা, ক্লাসিকাল গেট, ২টা জালানার ২টা গ্রীলও বাইল ও আনুমানিক ৩,০০০ (তিন হাজার) ইটসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি (যাহা আহছানিয়া মিশনের নিজস্ব সম্পত্তি) বিক্রয় করিলে এবং তাহার অযাচিত কার্যের ফলে দোকানঘর ছাদ ভাংগিয়া পড়িলে উক্ত বিষয়ে আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ অবগত হইয়া উক্ত মীর মাহমুদ হাসান লাকীকে চুক্তির ৫ ও ১০নং শর্তাবলী এবং একই সাথে ৯নং কলামে বর্ণিত শর্তাবলী লংঘনের কথা বলায় তিনি ক্ষিপ্ত হইয়া বলেন, “আমি বর্তমানে সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরা-২ এর আপন ভাই, আমার কাছে কৈফিয়ৎ চাইতে এসেছিস, তোদের মজা দেখাব”- ইত্যাদি মর্মে আস্ফালন এবং হুমকি প্রদর্শন পূর্বক উপস্থিত মিশনের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করিয়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকিবার এক পর্যায়ে আমি আমার পত্রিকা অফিসে আসিবার পথে লোক সমাগম দেখিয়া উক্ত দোকানঘরের পার্শ্বে যাই এবং লাকীর অগ্নিমূর্ত্তিসহ উল্লেখ্যরূপ হুমকি ও আস্ফালনমূলক বক্তব্য স্বকানে শ্রবণ করিয়া কোনরূপ মন্তব্য ব্যতিরেকেই আমার অফিসে চলিয়া আসি। পরবর্তীতে উক্ত মীর মাহমুদ হাসান লাকীসহ তাহার দলবল আমাকে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট অফিসের সামনে পাইয়া কেন সেদিন লাকীর পক্ষালম্বল গ্রহণ করি নাই মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে আমি কোন উত্তর দেওয়ার পূর্বেই আমাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইলে আমি প্রাণ ভয়ে দ্রুত আসিয়া আমার পত্রিকা অফিসে প্রবেশ করিলে পিছু পিছু লাকীসহ তার দলবল ও পত্রিকা অফিসের অনধিকার প্রবেশ পূর্বক ক্ষমতার দাপট ও ত্রাস সৃষ্টি করিয়া লাকী তাহার হাতে থাকা পিস্তল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমানের মাথায় ঠেকিয়ে মৃত্যুভয়ে ভীত করে এবং ময়নুল ইসলাম হাফিজুর রহমানের গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করিয়া অফিসে থাকা সকলকে টু শব্দটি করিতে নিষেধ করে এবং তাহার হুকুমে অন্যান্যরা অফিসে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল ভাংচুর করিয়া দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এতদস্বত্ত্বে¡ও বর্ণিত প্রকৃত সত্য গোপন করত: নিজ কৃত ও সংঘটিত অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে জড়ীভূত করিয়া গত ইং ৩/৬/১৭ তারিখে যে ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যেমূলক বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশ করিয়াছে উহার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি।
শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু সহ-সম্পাদক দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিকলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন।