বি এম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি: আগামী ৫ জানুয়ারী’২২ আশাশুনি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার সব ইউনিয়ন মিলিয়ে অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ কাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। অনেক আগে থেকেই দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টানানো, মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠাক ও গণ সংযোগ করার মাধ্যমে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতার জানান দিয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদসহ সারা বাংলাদেশের ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা হওয়ার পর থেকে সকল প্রার্থীরা তাদের পক্ষে জোর জনসমার্থন আদায়ের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকাংশ প্রার্থীরা প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। ওয়াজ মাহফিল,
জানাজা নামাজ, পূজা-পার্বন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অনুরুপ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। ইউনিয়নবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ আর নিজের পক্ষে অধিক জনসমর্থন প্রদর্শন করতে মাঝে মধ্যে কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল বহরযোগে গণসংযোগ করতেও দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক পরিচয় এর সূত্র ধরে প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি আর দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আশাশুনি উপজেলার শোভনালী, বুধহাটা, কুল্যা, দরগাহপুর, কাদাকাটি, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, বড়দল, খাজরা, আনুলিয়া ও প্রতাপনগর ইউপি নির্বাচনে যেসকল প্রার্থী মাঠে রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে, বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন প্রার্থী কোন দলের ব্যানারে না থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন বলে ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েকজন প্রার্থী সরাসরি বলছেন যে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্যই সে চেষ্টা করছেন, মনোনয়ন না পেলে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন না। বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটাররা জানান,
আওয়ামীলীগের যেসব প্রার্থী মাঠে রয়েছেন তাদের দু’একজন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও যেই পাক না কেন তিনি/তারা নির্বাচনী মাঠে থাকবেনই। আবার অনেকেই বলছেন, বিগত দিনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ারা যদি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন তাহলে অনেক নেতাকেই সাইড বেঞ্চে থাকা লাগতে পারে। আর এই সুযোগটা নেয়ার জন্য আরও দু’একজন কৌশল হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। এদিকে, বিএনপি জামায়াতের কোন প্রার্থী দলীয় ব্যানারে মাঠে না থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে কে কে থাকেন। তবে ভোটাররা যার দ্বারা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন হবে এমন সৎ ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন।