সাতক্ষীরা

বিবাহে অস্বীকার করা শিক্ষার্থীর সাথেই নিখোঁজ সাতক্ষীরার আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল

By daily satkhira

December 05, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : তালা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সম্মুখে ১০ শ্রেণির ছাত্রীকে বিবাহ অস্বীকার করে শর্তসাপেক্ষে প্রথম স্ত্রীর সাথে মিমাংসা করেন মানিকহার দ্বিমুখি দাখিল মাদ্রাসার আলোচিত কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল। কিন্তু মাত্র কয়েক পরেই সেই ছাত্রীর হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন খায়রুল। তাদের সন্ধান চেয়ে ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীর পিতা আব্দুল মাজেদ ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

প্রথম স্ত্রী তহমিনা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকহার দ্বিমুখী মাদ্রসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের এস এস সি পরীক্ষার্থী মানিকহার গ্রামের আব্দুল মাজেদের কন্যা শান্তা। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁশলিয়ে গত কায়েক মাস পূর্বে শান্তাকে বাল্য বিবাহ করে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। অথচ খায়রুল ইসলাম গত ১১ বছর পূর্বে ওমরপুর এলাকার ওহাব মোড়লের কন্যা তানিয়াকে বিবাহ করেন। প্রথম স্ত্রী থাকার পরও খায়রুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুশলিয়ে বিবাহ করেন। এঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হলে দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে প্রথম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তালা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ে ওই ছাত্রী বিবাহ করেননি এবং তার সাথে কখনো সম্পর্ক রাখবে না মর্মে কয়েকটি শর্তস্বাপেক্ষে মিমাংসা হয়।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করায় ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ১০ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করেন। গত ২১ নভেম্বর ওই ছাত্রী শান্তা পরীক্ষার ছিলো। পরীক্ষা শেষে তাকে নিয়ে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর কন্যা বাড়ি না ফেরায় শান্তার পিতা আব্দুল মাজেদ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করেও না পেয়ে থানা ডায়েরি করতে গেলে থানা তাকে আরো খবর নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার কন্যাকে পরীক্ষার কেন্দ্রের সামনে থেকে খায়রুল নিয়ে গেছে। কিন্তু ১৫ দিন ধরেও তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি প্রথমে ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন।

শান্তার পিতা আব্দুল মাজেদ বলেন, আমার একটি মাত্র মেয়ে। কিন্তু খায়রুল তাকে ভাগিয়ে নিয়ে কোথায় গেছে আমাদের জানা নেই। প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেলেও আমার কন্যার কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। আমি আমার কন্যার দ্রুত সন্ধানের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।