দেশের খবর: দিনাজপুরে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ব্যবসায়ী মো. খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টনের বিরুদ্ধে ১৮ মামলা দায়েরের ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরির্দশকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ১৮ মামলা দায়েরের ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে আবেদন করেছিলেন ব্যবসায়ী মো. খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টন। কিন্তু পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গত ১৫ নভেম্বর রিট করা হয়। রিটে এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
গত ২১ নভেম্বর ‘ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুই মাসের ব্যবধানে ১৮ মামলা, বাদী পুলিশের সোর্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনাজপুরে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা হয়েছে। ১৩টি জিআর ও ৫টি এনজিআর মিলে ১৮টি মিথ্যা মামলার বেশিরভাগেরই বাদী পুলিশের ‘সোর্স’।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দিনাজপুরের ব্যবসায়ী মো. খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টন। তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।