নিজস্ব প্রতিনিধি : আবারও শুরু হয়েছে সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালপাড় দখল। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হকার্স মার্কেট। সেখান থেকে অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ।
সাতক্ষীরা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, অবৈধভাবে গড়ে তোলা মার্কেটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দোকান মালিকরা। তবে হকার্স মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, বেচাবিক্রি বেশী হওয়ায় উচ্ছেদ করতে চায় দোকান মালিকরা। সাতক্ষীরা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম রসুল জানান, প্রাণ সায়ের খালটি খননের জন্য কিছুদিন আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমানে শহরের ওয়ান ব্যাংকের সামনে প্রাণ সায়ের খাল পাড়ে গড়ে উঠেছে ১৫-২০টি ফুটপাতের দোকান। নাম দেওয়া হয়েছে হকার্স মার্কেট।
একদিকে সরকারি জায়গা দখল করে বর্জ্য ফেলে খালের পরিবেশ নষ্ট করছে অন্যদিকে দোকানগুলোতে নি¤œমানের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত কাপড় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবি জানাচ্ছি। শহরের পূর্বাশা বস্ত্র বিতানের সত্ত¡াধিকারী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, নি¤œমানের কাপড় বিক্রি করায় মাঝেমধ্যে ক্রেতাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হকার্স মার্কেটটির দোকানীরা। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। হকার্স মার্কেটের দোকান মালিকদের একজন শওকত আলী।
তিনি জানান, আমাদের ১০-২০ লাখ টাকা দিয়ে মার্কেটে দোকান নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এক সময়ের অন্যের দোকানে কর্মচারি ছিলাম এখন ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছি। এতে চক্ষুশূল হয়ে গেছি শহরের দোকান মালিকদের।
তারা অভিযোগ করছে, আমরা নি¤œমানের কাপড় বিক্রি করি এটা সঠিক নয়। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে আমরা কম লাভ করে অল্পদামে কাপড় বিক্রি করি সেগুলো মার্কেটের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হয়। আমাদের এখানে কম দামে পাওয়ায় ক্রেতারা এখানে আসেন ও বিক্রি বেশী হয়। মূলত এ কারণেই মার্কেটের দোকানীরা আমাদের উচ্ছেদ করতে চাই। ক্ষুদ্র এসব ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে দাবি করেন, ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ বা মার্কেট গড়ে দিন, আমরা সেখানেই ব্যবসা পরিচালনা করবো। উচ্ছেদ করে দিলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, প্রাণ সায়ের খালটি সাতক্ষীরা শহরের ঐতিহ্য। খালের দুপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো এক বছর আগে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এছাড়া খালপাড়টি দৃষ্টিনন্দন করার প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে সেটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
এরই মধ্যে খালের দুই পাড়ে যারা অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া ক্ষুদ্র এসব ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কি করা যায় সেগুলোও আমরা ভেবে দেখবো।