আসাদুজ্জামান : ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ না মেনে থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যানের হাতে মার খেলেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক রোজাদার মুক্তিযোদ্ধা। বুকে চেয়ারম্যানের লাথির আঘাতে গুরুতর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলি ক্ষোভে দুঃেখে ও অপমানে আত্মগোপন করেছেন। তবে ক্ষুব্ধ কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, তিনি মারধর করেননি। তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে কলারোয়া পৌর শহরের পশু হাসপাতালের সামনে। এ ঘটনাটি শতাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ করেন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলি জানান, তার বোনের সাথে বিয়ে হয়েছে কেড়াগাছির বোয়ালিয়া গ্রামের খোকনের। বোনকে তার স্বামী মারপিট করায় সে আহত হয়। এ ঘটনার বিচার ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়া হলে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল সালিশ বিচারে বলেন, সে বাড়িতে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। তার স্বামী তাকে মারেনি। জিয়াদ আলি জানান, তারা এই সালিশ মেনে নিতে পারেন নি। এ জন্য থানায় অভিযোগ দেন তিনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ হন কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল। অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কলারোয়া বাজারে তাকে দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে প্রকাশ্যে কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে তার বুকে কয়েক দফা লাথি মারেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদের মুখে চেয়ারম্যান দ্রুত এলাকা থেকে সরে পড়েন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলির বোনকে মারধর করার অভিযোগ মিথ্যা। সালিশে সেটাই প্রমানিত হয়েছে। অথচ এই সালিশ বিচার না মেনে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলি পুলিশের কাছে যাওয়ায় তার সাথে কিছু বাক বিতন্ডা হয়েছে মাত্র। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আহত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াদ আলী এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নং-৭৫। তিনি আরো জানান, তদন্ত পূর্বক ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।