নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় চুরির মামলা তুলে নিতে বাদীকে খুন জখম সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকির অভিযোগ উঠেছে চুরি মামলায় আটক আসামীর আতœীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলার বাদী।
ভুক্তভোগী মামলার বাদী জাহানারা খাতুন জানান, তিনি সাতক্ষীরা শহরের উত্তরকাটিয়া গ্রামের মতুর্জা করিম খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। গত ১৫ আগস্ট তার মাতা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পাশ্ববর্তী আতœীয় হোসনেয়ারাসহ অন্যরা দেখতে যান। পরে জাহানারা খেয়াল করেন তার ওয়ারড্রফে রক্ষিত স্বর্ণের রুলি, স্বর্ণের কানের দুল, স্বর্ণের ব্রেসলেটসহ নগদ ১৬ হাজার টাকা নেই। সে সময় খোজাখুজির এক পর্যায়ে হোসনেয়ারাসহ অন্যান্যদের কাছেও খোজ করা হয়। একপর্যায়ে পরের দিন হোসনেয়ার বাড়িতে গেলে জাহানারাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এবং মালামাল নেওয়ার কথা স্বীকার করে।
এঘটনায় জাহানারা বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-৪৪।(জি আর ৬৬৬/২১(সাত) উক্ত মামলায় পুলিশ হোসনেয়ারা কে আটক করলে সে মালামাল চুরির বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি প্রদান করে এবং জনৈক কিশোর কুমার ওরফে লক্ষণ এর নিকট মালামাল বিক্রয় করেছে মর্মে জানায়। পরে পুলিশ নোয়াখালী জেলা হতে ওই কিশোর কুমার ওরফে লক্ষণকে আটক নিয়ে আসে। কিশোর ওরফে লক্ষণ চুরির মালমাল ক্রয় করেছে মর্মে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি প্রদান করে। এরপরও লক্ষন মামলা তুলে নিয়ে তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। মামলা তুলে নিয়ে লক্ষনকে অব্যহতি না নিলে বিশেষ পদ্ধতিতে জামিন লাভ করে জাহানারা ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবননাশসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। অথচ ভুক্তভোগী জাহানারা খাতুন এখনো পর্যন্ত তার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এঘটনায় ভুক্তভোগী জাহানারা খাতুন তার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।