নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার খানপুরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাইনবোর্ড তুলে দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের আবু বাক্কার সরদারের পুত্র আবু জাফর। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে খানপুর মৌজায় এস এ খং-৪৫২, বিএস খং-১০৫৬, বর্তমান দাগ ৩৪৩৮, ৪ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি।
ক্রয়ের পর থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত সাবেক মেম্বর খলিলুর রহমান ৫লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছিল। চাঁদা দাবি করে বলেছিল, টাকা না দিলে উক্ত সম্পত্তিতে বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের নামে দখল করে অফিস তৈরি করবো। আমি টাকা না দেওয়ায় সাবেক মেম্বর খলিল আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য নানা চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এর জের ধরে উক্ত সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। আমরা বিষয়টি অবগত হয়ে উক্ত সাইনবোর্ড খুলে ফেলতে বললে খলিল ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য মৃত. নেয়ামুদ্দিন সরদারের পুত্র ফজলু, মৃত. আব্দুল মজিদ সরদারের পুত্র রিয়াজুল, মৃত. সাত্তার সরদারেরপুত্র মিজানুর রহমান, আশিক, সাহেব আলী, শওকত আলী, জয়নুদ্দিনের পুত্র মনি, আসাদুল সহ ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী আমার সামীনা প্রাচীর ভাংচুর করে ।
উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি থাকার পরও সেখানে থাকা দুটি টল দোকান ও ২২ ফুট প্রাচীর ভাংচুর করে খলিল। সেখানে এখনো পর্যন্ত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। অত্র এলাকায় খলিলের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। ওই বাহিনীর সহযোগিতায় যে কোন মুহুর্তে আমার বাকী সম্পত্তিও দখল করে নিতে পারে বলে আংশকা করছি। খলিল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আওয়ামীলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।
অথচ তিনি দলের নাম ভাঙিয়ে অন্যের সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে এবার ওয়ার্ডের মানুষ তাকে ভোট দেয়নি। তিনি মেম্বর পদে পরাজিত হন। তার অত্যাচারে আমরা অতীষ্ট হয়ে পড়েছি। খলিল বিভিন্ন ভাবে আমাকে খুন জখম মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আমি বর্তমানে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ওই সাবেক মেম্বর খলিলের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।