দেশের খবর: আবারও নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। আগামী দুদিনে এটি আরও এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ এবং শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা বেশি নামতে পারে। এরমধ্যে আবার কিছু এলাকায় তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এটি আরও এলাকায় ছড়াবে। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এটি বিস্তার লাভ করতে পারে। প্রথমে মৃদু হলেও পরে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে মাঝারি আকারে বইতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।
তারা আরও জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি মৃদু অর্থাৎ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা মাঝারি অর্থাৎ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে ২টি তীব্র অর্থাৎ ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। এছাড়া এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্য এলাকায় হালকা বা মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪। যা গত সপ্তাহে ছিল গড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ১৫ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১৪, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ২, রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, খুলনায় ১৪ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।