নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউপি নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের ভোট পুনরায় গননার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪ জন প্রার্থী। ৪ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নূরুল হক বলেন, আমরা নি¤œস্বাক্ষরকারী শ্যামনগর উপজেলার ২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও একজন বিশেষ প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য ৩নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এ এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের নিযুক্ত থাকা পুলিশ অফিসার,
প্রিজাইর্ডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনিয়মের অবতারনা করে। ভোটাররা সুষ্ঠু ভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর গননার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অনিয়ম ও জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেন ওই কর্মকর্তারা।
ভোট গননার পূর্বেই আমাদের পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষরে করিয়ে নেন এবং ভোট গননার পূর্বেই ওই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে আমরা ভোট গননায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেই পুনরায় গননার দাবি জানালে সেখানে কর্মরত পুলিশ অফিসার অহিদুল ইসলাম(কালিগঞ্জ থানায় কর্মরত) আমাদের হুমকি প্রদর্শন করে আর গননার সুযোগ নেই বলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এইচ এম কামরুজ্জামানের কাছে ভোট পুনরায় গননার দাবি জানালেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করেন। ভোট গননার প্রায় ২ ঘন্টা পর ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করে প্রিজাইডিং অফিসার। ভোট গননা সুষ্ঠ না হওয়ায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের অনেকেই ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করেননি। পরবর্তীতে পুলিশ অফিসার অহিদের চাপে কয়েকজন ফলাফল সীটে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। কেন্দ্র থেকে আমাদের কাছে তিনটি ফলাফল সীট আসে। এর মধ্যে একটি চেয়ারম্যানের, একটি মহিলা মেম্বর এবং একটি মেম্বরদের ফলাফল সীট। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো তিনটি ফলাফল সীটে গোবিন্দপুর এ এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটের সংখ্যা তিন রকমের। একটি সীটের ভোটের সংখ্যার সাথে অন্যটির কোন মিল নেই। উক্ত ওয়ার্ডে ৬ প্রার্থীদের মধ্যেই ৪ জনই পুনরায় ভোট গননার দাবি জানিয়েছেন। আমরা ৪জন প্রার্থী একসাথে বার বার প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করলেও আমাদের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক আপেলের প্রার্থীকে বিজয়ী করিয়ে দেন। তারা ৩নং ওয়ার্ডের ভোট পুনরায় গননার দাবিতে সাতক্ষীরা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।