সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারপিট এবং সহিংসতা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

January 08, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউপিতে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে না দেওয়া, মারপিট এবং বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের হুমকিসহ সহিংসতা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জি এম সাদেকুর রহমান সাদেক।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারী ২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এড. জি এম শোকর আলীর কাছে পরাজিত হই। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। কিন্তু দু:খ জনক বিষয় হলো নির্বাচনে আমার পক্ষে যারা কাজ করেছিলেন নির্বাচনের পর তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না। অনেকই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলতে পারছে না। নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংতায় উত্তেজিত হয়ে পড়েছে ইউনিয়নটি। নির্বাচনী সহিংসতার অংশ হিসেবে নির্বাচনের পরের দিন ধুমঘাট এলাকার মনিন্দ্র মন্ডলকে মারপিট করে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের লোক খোকন সরদার। এছাড়া বংশীপুর গ্রামের চাল ব্যবসায় আমজাদ আলী ও শুকুর আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে দিচ্ছে না চেয়ারম্যানের লোক ফিরোজ, হালিম, শহিদুল ও আলমগীরসহ কতিপয় ব্যক্তি। এছাড়া ৭জানুয়ারি ধুমঘাট এলাকার বেলালকে পিটিয়ে জখম করে চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থক আ: জলিল, আ:রহিম এবং ওমর ফারুকসহ কতিপয় ব্যক্তি। ৮জানুয়ারি চেয়ারম্যানের কর্মী ফিরোজ, নুরুল ও হোসেন বংশীপুর গ্রামের রফিকুল হাজীকে মারপিট করে অপমানিত করে। আমার নিজের ভাই আ: হালিম তার ঔষধের দোকানও খুলতে পারছে না ওই সকল হিং¯্র প্রকৃতির ব্যক্তির কারণে। তারা প্রতিনিয়ত খুন জখমসহ নানান হুমকি – ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। আমার কর্মী সমর্থকদের অনেকই ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ওই সব ব্যক্তিদের হুমকি-ধামকি এবং মারপিটের কারনে। নির্বাচনে একজন জিতবে একজন হারবে। কিন্তু তাই বলে পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অপরাধে তাদের মারপিট করতে হবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে, খুন জখমের হুমকি দিতে হবে। এটি কিভাবে হতে পারে। এবিষয় নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সাথেও কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলেও এখনো কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমার কর্মী সমর্থকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। তিনি এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।