নিজস্ব প্রতিনিধি : গাবুরা জি এল এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তির অবৈধ দখল এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিনুর রহমান লিংকন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আযম লেলিনের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গাবুরা ইউনিয়নের খলিসাবুনিয়া গ্রামের মাকছুদুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান নয়ন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাবুরা জি.এল.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৬.৩২ একর জমি আছে। এই জমির মধ্যে ১.২৬ একর জমি বিদ্যালয় গৃহ ও মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত এবং অন্যান্য সম্পত্তি বিলান শ্রেণীভুক্ত। গাবুরা জি.এল.এম. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জি.এম.শফিউল আযম লেলিন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একত্রে যোগসাজসে বিদ্যালয়ের বিলান শ্রেণী ভুক্ত জমি গুলি আত্মসাৎ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার প্রভাবে খাটিয়ে দীর্ঘ ২০০৬ সাল থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সহিত সম্পৃক্ত আছে। তার নামে একাধিক মামলা সহ দূর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান রহিয়াছে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেহ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ২০০৬ সাল থেকে ১৫.০৬ একর বিলান জমির হারীর টাকা শফিউল আযম লেলিন ও প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করে আসছে। বিঘা প্রতি সাত হাজার টাকা হারে প্রতি বছরে ৪৫ বিঘা জমির হারী বাবদ ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ধার্য্যে ১৪ বছরের হারী বাবদ ৪৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিদ্যালয় জেনারেল ফান্ডে টাকা জমা না দিয়ে প্রতি বছর হারীর টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নামে ১৬.৩২ একর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে শফিউল আযম লেলিন পার্শ্বেমারী মৌজায় ১১০৭ ও ১১১৯ দাগে ৩.৬৪ একর সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে মসজিদ ও ঘর নির্মাণ করিয়াছে। ইহা ছাড়াও বিদ্যালয়ের সম্পত্তি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত দিয়ে ভূমিহীনদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শফিউল আযম লেলিন বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ায় সে মনগড়া ইচ্ছামত কার্যক্রম করিয়া থাকে। এই ভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়টি অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিনুর রহমান লিংকন কর্তৃক পরকীয় প্রেমে আসক্ত হইয়াছে যাহার অডিও রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছে।